রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডুবতে ডুবতে জাগলো

নয় দিনের টানা পতনের পর উত্থান

নয় দিনের টানা পতনের পর উত্থান

  • বিনিয়োগকারীদের স্বস্তির ঘাম

বিভিন্ন সমস্যায় ঈদের পর থেকেই দেশের পুঁজিবাজার নিম্নমুখী। টানা ৯ কার্যদিবস পতন পর হঠাৎ গতকাল সোমবার উত্থানে ফিরলো পুঁজিবাজার। দীর্ঘ পতন পর হঠাৎ উত্থানে আসায় কিছুটা শান্তির নিঃশ্বাস ছাড়লেন বিনিয়োগকারীরা। এমনটিই মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টারা। 

তারা বলছেন, নানা সমস্যার কারনে শত চেষ্টা করেও রেগুলেটররা পুঁজিবাজার উত্থান আনতে হিমশিম খাচ্ছে। পুঁজিবাজার সঠিক পথে আনতে সবার সম্মিলিত উদ্যোগও মুখ থুবড়ে পড়েছে। কোনো ইতিবাচক উন্নয়নই কাজেই লাগছিল না পুঁজিবাজারের পতন ঠেকাতে। কিন্তু হঠাৎ করেই গতকাল সোমবার উল্টো দিকে ফিরে আসলো পুঁজিবাজার। উত্থানে ফিরে আসার কারণ হিসেবে সকলের বিশেষ নজরদারির বিষয়টি কথা বললেন। বিশেষ করে পুঁজিবাজারে অর্থ প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারের ক্যাপিটালে নজরদারি করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি এ উত্থানের মূল কারন বলেও জানালেন সংশ্লিষ্টারা।

স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে জানা যায়, ঈদের পর টানা ৯ কার্যদিবস পুঁজিবাজার পতন। সেই পতনে ছেদ পড়লো গতকাল সোমবারে। এদিন দেশের প্রধার পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সব ধরনের সূচক উত্থান হয়। এদিন ডিএসইর অধিকাংশ কোম্পানি শেয়ার ও ইউনিট দর বাড়ে। তবে সিএসইর বেশির ভাগ কোম্পানি শেয়ার ও ইউনিট দর কমে। তবে আগের কার্যদিবস থেকে এদিন দুই স্টকে লেনদেন বেড়েছে।

এদিন ডিএসইতে বেশির ভাগ খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। এর মধ্যে সিরামিক, সিমেন্ট, ইঞ্জিনিয়ারিং,পাট, বিবিধ, ওষুধ রসায়ন, সেবা আবাসন এবং বস্ত্রখাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে। কমেছে খাদ্য আনুষঙ্গিক, বিমা, আইটি, পেপার এবং টেলিকম খাতের অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার দর। এছাড়া ব্যাংক, নন ব্যাংকিং আর্থিক, ফান্ড এবং ভ্রমন অবসর খাতের কোম্পানির শেয়ার দর উত্থান-পতনে রয়েছে মিশ্রাবস্থায়।

আরও পড়ুনঃ  বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে মুক্ত বাংলাদেশ

ডিএসইতে গতকাল লেনদেন হয় ৬৩৯ কোটি ৯৫ লাখ টাকার শেয়ার। আগের কার্যদিবস রবিবার লেনদেন হয়েছিল ৪৭০ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৮০টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ১৯৬টির, কমেছে ১৩১টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৫৩টির। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৩০ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৮২ দশমিক ৮৯ পয়েন্টে। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক ৯ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস সূচক ৩ দশমিক ৯৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ২ হাজার ১৭৭ দশমিক ১৯ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ৩৩২ দশমিক ৩২ পয়েন্টে।

অপর পুঁজিবাজার সিএসইতে গতকাল সোমবার লেনদেন হয় ১৭ কোটি ৪৬ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবস রবিবার লেনদেন হয়েছিল ১৫ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। এদিন সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২৭৬টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে ১১১টির, কমেছে ১২৯টির এবং পরিবর্তন হয়নি ৩৬টির। এদিন সিএসইর প্রধান সূচক সিএএসপিআই ১১৫ দশমিক ৩৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৯২২ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে। এছাড়া সিএসই-৫০ সূচক ১০ দশমিক ৫৪ পয়েন্ট, সিএসই-৩০ সূচক ৬৪ দশমিক ৯১ পয়েন্ট, সিএসসিএক্স সূচক ৬৯ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট এবং সিএসআই সূচক  ১০ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৩১৪ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে, ১৩ হাজার ১৮৫ দশমিক ৪২ পয়েন্টে, ১০ হাজার ৭৩৬ দশমিক ৮৩ পয়েন্ট এবং ১ হাজার ১৩১ দশমিক ৬১ পয়েন্টে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন