শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দূষণে মৃতপ্রায় ভৈরব

দূষণে মৃতপ্রায় ভৈরব

যশোরের ভৈরব নদের বাবলাতলা থেকে নীলগঞ্জ পর্যন্ত দুই ধারের ১০৬ জন ব্যক্তি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত দূষণ করে চলেছে। বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ও হাসপাতালের স্যুয়ারেজ লাইন নামিয়ে দেয়া হয়েছে নদে। অনেক স্থানে নদে সংযোগ দেয়া হয়েছে পৌরসভার ড্রেনের লাইন। ফলে শহরের বর্জ্য পড়ছে নদে। এভাবে নদ দূষণকারীদের একটি তালিকা করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। সেই তালিকা ধরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তালিকা অনুযায়ী শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের একতা হসপিটাল, মডার্ন হসপিটাল, রেঁনেসা হসপিটাল, অসীম ডায়াগনস্টিক সেন্টার, স্ক্যান হাসপাতাল, স্ক্যান ও ইউনিক হাসপাতালের মাঝের ড্রেন, অর্থোপেডিক্স হাসপাতাল, পপুলার হাসপাতাল, লাবজোন, দেশ ক্লিনিক, কিংস হাসপাতালের অভ্যন্তরে সেপটিক ট্যাংক নেই। তাদের সোয়ারেজ লাইন সরাসরি নদের পানিতে পতিত হচ্ছে। এছাড়া হাসপাতালের বিভিন্ন বর্জ্য সরাসরি নদে ফেলা হচ্ছে।

এদিকে ঘোপ এলাকার স্বপন সরকার ও মুনছুর আহম্মেদ প্রতিনিয়ত নদ দূষণ করে চলেছে। কাঠেরপুলের রওশন আরা, গীরবশাহ মাজার সংলগ্ন পৌরসভার ড্রেন, রাজধানী হোটেল সংলগ্ন পৌরসভার ড্রেন, বাবলাতলা ব্রিজ সংলগ্ন পৌরসভার ড্রেন, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে পৌরসভার ড্রেন, লোন অফিস পাড়ার হাবলু, গরুর খামার মালিক মমতাজ উদ্দীন পিন্টু, লোন অফিসপাড়ার পৌরসভার ড্রেন, চার নম্বর ওয়ার্ড লিচুতলা ব্রিজ সংলগ্ন পৌরসভার ড্রেন, লিচুতলা ব্রিজ সংলগ্ন বাসিন্দা জাহাঙ্গীর কাদের, একই এলাকার মো. আসলাম ও মোহাম্মদ আলী, লিচুতলা এলাকার হাসানুর রহমান, নিচুতলা ব্রিজ সংলগ্ন নদীর বাম পাশের বিস্কুট ফ্যাক্টারি, এখানকার পৌরসভার ড্রেন, নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার সেলিম, একই এলাকার আনিছুর রহমান, নূর মোহাম্মদ সড়কের মো. নাসিম, আনোয়ার হোসেন, বাবুল হোসেন, জাহাঙ্গীর মোল্যা, বুলু গাজী, হাবীব, পান্নু শেখ, ফজলে আলী বাবু, ইংশুল আলী, রাকিব হোসেন, দাউদ, স্থানীয় পৌরসভার ড্রেন, মহাসিন শেখ, বিকাশ বিশ্বাস, স্থানীয় পৌরসভার ড্রেন থেকে দূষিত পানি যাচ্ছে নদে।

আরও পড়ুনঃ  হাফ ভাড়া দিতে চাওয়ায় বাসে প্রকাশ্যে ‘ধর্ষণের হুমকি’

এছাড়া মোল্লাপাড়ার জামাল শেখের স্ত্রী রিনা, ফজলুর করিম টুটুল, এলাকা ভিত্তিক ড্রেন, মোল্লাপাড়ার মাসুম খন্দকার, শফিয়ার রহমান, নীলগঞ্জের শাহেব আলী, মাসুম বিশ্বাস, মফিজ ছলেমান, হাফিজুর রহমান, ছাত্তার, ঝুমঝুমপুর নদীর পাড় এলাকার হাসানুর রহমান, আজবাহার মোল্লা, রাশিদা বেগম, ডা. শরিফুল ইসলাম, রনি সর্দ্দার, নারগিছ সামাদ, ফরিদা বেগম, ফারুখ হোসেন ও স্থানীয় পৌরসভার ড্রেন, ঝুমঝুমপুর নদীর পাড়ের কাজী বুলবুল, বুদ্ধমিয়া হাজী, পৌরসভার আরো একটি ড্রেন, নদের পাড়ের শফি, আলী হোসেন, মাসুদ, পৌরসভার আরেকটি ড্রেন, স্থানীয় হেমায়েত শেখ রপ্তম শেখ ও কাজী আবুল হোসেন নদ দূষণের তালিকায় রয়েছে। আর নদের পাড়ের শ্মশান রোডের মিজানুর রহমান, স্থানীয় পৌরসভার ড্রেন, ঝুমঝুমপুর বলিয়াডাঙ্গার রুহুল আমিন, মনিরুজ্জামান, আকরাম হোসেন, শাহাদত, সুবল’র মাছ ফ্যাক্টারি, স্থানীয় লালন ভূঁইয়া, বদিউর রহমানের স্ত্রী ফরিদা, সাইফুল ইসলাম, মাসুদ রানা, কালাম মিয়া, আব্দুল কাদের, স্থানীয় মসজিদ, রাশিদা বেগম, ইকবালের গরুর খামার, মিলন হোসেন, সাইফুল ইসলাম, স্থানীয় একটি ড্রেন, মান্নান শেখ, পৌরসভার ড্রেন ও কৃষ্ণ বিশ্বাস সমানতালে নদ দূষণ করে চলেছে।

অপরদিকে নীলগঞ্জ তাঁতীপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীর খান, শহিদুল, আফিয়া বেগম, আসকার মুন্সি, সৈয়দ রাশেদুল, মুজিবর বেপারী, সোহেল, আমিরুল মোল্লা, শেখ আব্দুর রহিম দুষণের তালিকায় রয়েছে।

যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহীদুল ইসলাম বলেন, জেলার মাসিক উন্নয়ন কমিটির সভায় ভৈরব নদ দূষণকারীদের তালিকা তুলে ধরেছি। বিষয়টি জেলা প্রশাসন দেখবে।

এব্যাপারে যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, ভৈরব নদ দূষণকারীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

আরও পড়ুনঃ  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঋণখেলাপি প্রার্থী ১১৮

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন