শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হুমকির মুখে টেরিটাওয়েল খাত

দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা পূরণ করে আসছে। অন্যদিকে সহযোগী শিল্প হিসেবে গড়ে উঠা ‘টেরিটাওয়েল’ এর রফতানিতেও উজ্জ্বল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।

কিন্তু বিভিন্ন রকম বাধা বিপত্তির মুখে পড়ে থমকে যাচ্ছে সবচেয়ে বেশি মূল্য সংযোজনকারী এ শিল্প। আর এ জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগি সক্ষমতা হারানো এবং সনাতনি উৎপাদন ব্যবস্থাকেই দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বিশ্ববাজারে এ পণ্যের রফতানি হয়েছে ৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারেরও বেশি। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪ কোটি ৯২ হাজার ডলার, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫ কোটি ২১ লাখ ডলার, এবং ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের টেরিটাওয়েল রফতানি করেছে বাংলাদেশ। আর চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ১ কোটি ৯৫ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে।

বিশ্ববাজারে নিম্ন ও মধ্যম মানের টেরিটাওয়েল রফতানি করে বাংলাদেশ। টেরিটাওয়েল রফতানির জন্য বাড়তি কোন কাঁচামাল আমদানির প্রয়োজন না হওয়ায় এ পণ্য রফতানিতে মূল্য সংযোজন আশি থেকে নব্বই শতাংশ পর্যন্ত হয়ে থাকে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেরিটাওয়েল ও লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন-বিটিটিএলএমইএ।

বিটিটিএমএলইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহাদত হোসেন বলেন, এমন পরিস্থিতিতে টেরিটাওয়েল শিল্পকে বাঁচাতে হলে রফতানিতে নগদ সহায়তা বর্তমান ৪ শতাংশ থেকে ১৬ শতাংশে উন্নিত করতে হবে। পাশাপাশি শুধুমাত্র রফতানির জন্য প্রতি মার্কিন ডলারের বিপরীতের টাকার মূল্যমান ৯০ এ নামিয়ে আনতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে, বেশি সমস্যায় পড়েছে সনাতন প্রযুক্তির ছোট ছোট কারখানাগুলো। পুরাতন প্রযুক্তির এসব মেশিনের উৎপাদনশীলতা কম হওয়ার পাশাপাশি উৎপাদন খরচও বেশি। ফলে এসব কারখানার অধিকাংশই এখন বন্ধ হয়ে গেছে।

আরও পড়ুনঃ  প্রয়োজনে সারাদেশের ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে: সিইসি

 

 

 

আনন্দবাজার/ইউএসএস

সংবাদটি শেয়ার করুন