ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পেঁয়াজ সংকটে খোদ মোদি সরকার

পেঁয়াজের শীর্ষ রফতানিকারক দেশ ভারতের ভোক্তারাও পেঁয়াজের লাগামহীন দাম নিয়ে অস্থির হয়ে পড়েছে । ভারত সরকার পেঁয়াজের লাগামহীন দাম কমাতে রফতানি বন্ধ, মজুদ সীমিতকরণ, বাজারে কঠোর নজরদারিতেও ব্যর্থ হয়েছে লাগাম টানতে ।

ইতিমধ্যে মসলাজাতীয় পণ্যটির দাম রেকর্ড ছাড়িয়েছে দেশটিতে । খোদ মোদি সরকারও পেঁয়াজের এ লাগামহীন দাম নিয়ে অস্বস্তিতে রয়েছে । পণ্যটির শীর্ষ উৎপাদন এলাকাগুলোতে অসময়ে ভারি বৃষ্টিপাতে আবাদ ব্যাহত হওয়ায় এ বছর দেশটিতে দেখা দিয়েছে পেঁয়াজের সংকট ।

কিন্তু ভারতের পেঁয়াজ সংকট এবারই প্রথম নয়। এমনকি দেশটিতে পেঁয়াজ নির্বাচনী হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার হয়েছে । ১৯৮০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে ইন্দিরা গান্ধী পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী দামকে নিজের প্রচারণার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছিলো।

এমনকি ১৯৯৮ সালে দিল্লিতে সরকার গঠনে বিজেপির ব্যর্থতার প্রধান কারণ হিসেবেও ধরা হয় পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখী বাজারকে। ঐ সময় রাজস্থানের নির্বাচনের অন্যতম প্রধান ইস্যু ছিল পেঁয়াজের দাম বাড়তি থাকা।

২০১০ সালে ভারতের প্রধান উৎপাদন এলাকা মহারাষ্ট্রের নাসিকসহ অন্যান্য এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতে বাজারে পেঁয়াজ আসতে দেরি হয়। সংকট মোকাবেলায়  সময় মনমোহন সিং সরকার রফতানি বন্ধ করে দেয়।

ঐ সময় মনমোহন সিং সরকার সংকট মোকাবেলায় রফতানি বন্ধ করে দেয়। একইসাথে আমদানি শুল্ক কমিয়ে দেয়াসহ পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে মনমোহন সিং সরকার।

২০১৩ ও ২০১৫ সালেও অনেক সময় চাঙ্গা হয়েছিল ভারতে পেঁয়াজের বাজার। ২০১৫ সালে দিল্লিতে দাম কেজিপ্রতি ৮০ রুপি পর্যন্ত উঠেছিল। সে সময় পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে পেয়াজ আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।

চলতি বছর ভারতের বাজারে সেপ্টেম্বর থেকে পেঁয়াজ সংকট শুরু হয়। সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়ে দিল্লিতে প্রতিকেজি ১০০ রুপি ছাড়িয়ে যায়। সংকট মোকাবেলায় এরই মধ্যে সরকার মিসর ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

আনন্দবাজার/ফাহির

সংবাদটি শেয়ার করুন