- এপ্রিলেই ২৯ কোটি টাকা আহরণ
- প্রতিদিন ভ্যাট ৯৮ লাখ টাকা
করোনা অতিমারির ধাক্কায় স্থবির হয়ে পড়েছিল দেশের অর্থনীতি। করোনার নেতিবাচক প্রভাবে ক্ষতি প্রায় সব খাতে। এর ফলে রাজস্ব আহরণ কমেছিল অপ্রত্যাশিত ভাবে। কিন্তু করোনার সেই ধাক্কা কাটিয়ে এবার ঈদে জম জমাট ব্যবসা করে ব্যবসায়ীরা। ফলে টানা দুই বছর পর মন্দার পর এবারে রাজস্ব আহরণ বাড়ে। ঈদের আগে এপ্রিল মাসে দিনে গড়ে প্রায় কোটি টাকা ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) আহরণ হয়েছে। এ সময় ২৯ কোটি টাকার ভ্যাট আদায় হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনআরবি) সম্মেলন কক্ষে ইএফডি চালানের লটারির ড্র উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানের সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন) আব্দুল মান্নান শিকদার। ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস (ইএফডি) চালানের মাধ্যমে এই ভ্যাট আদায় হয়।
ঈদের আগে বিক্রি বেড়েছে জানিয়ে আব্দুল মান্নান বলেন, করোনার সময় হোটেল রেস্তোরাঁয় বিক্রি কম ছিল। কিন্তু এপ্রিল মাসে ব্যবসায়ীদের বিক্রি বেড়েছে। ফলে এই সময় প্রতিদিন কোটি টাকা ভ্যাট সংগ্রহ হয়। এপ্রিল মাসে ৪০৫ কোটি ৩৫ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বিক্রি হয়। যার বিপরীতে ওই মাসে ২৯ কোটি ৩১ লাখ ৭৪ হাজার টাকার ভ্যাট আদায় হয়। সে হিসাবে এনবিআর এপ্রিল মাসে প্রতিদিন ভ্যাট পায় ৯৭ লাখ ৭২ হাজার টাকার বেশি।
ইএফডি মেশিনের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাবে, কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য পূরণ হবে জানিয়ে আব্দুল মান্নান বলেন, ব্যবসায়ীরা ভালোভাবে ইএফডি ব্যবহার করবেন। আর ক্রেতারাও তাদের চালান সংগ্রহের বিষয়ে সচেতন হবেন।
ভ্যাট ফাঁকির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আব্দুল মান্নান বলেন, এপ্রিল মাসে ভ্যাট আদায় সন্তোষজনক। ভ্যাট ফাঁকির প্রবণতা সবসময়ই থাকে। আমরা চেষ্টা করছি ব্যবসায়ীদের বোঝাতে যে, আপনারা ভ্যাট সংগ্রহ করবেন ভোক্তার কাছ থেকে। সেটা যেন যথাযথভাবে আদায় করেন। অনেকেই সঠিকভাবে দিচ্ছেন, আবার কেউ কেউ হয়তো ফাঁকি দিচ্ছেন। যারা ফাঁকি দিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মামলা হচ্ছে। আমরা চাই সবাই যেন আইন মেনে চলুক।
গত এপ্রিল মাসের চালানের উপর ভিত্তি করে এই লটারির ড্র অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ইএফডি চালানের লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৭৮টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ইএফডি বসিয়েছে এনবিআর।
