শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্দরে ডিজিটাল ডেলিভারি

বন্দরে ডিজিটাল ডেলিভারি

চট্টগ্রামে সহজ-গতিশীল হচ্ছে আমদানি-রপ্তানি

  • লাইনে দাঁড়ানোর জটিলতা নিরসন

সিস্টেমটি পুরোদমে চালু হলে শিপিং ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অফিসে যাওয়া, লাইন ধরা ও কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হবে

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সহজ ও গতিশীল করতে গত ১ এপ্রিল থেকে অনলাইন ডেলিভারি অর্ডার সিস্টেম চালু করেছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সিস্টেমটি পুরোদমে চালু হলে শিপিং ও সিএন্ডএফ এজেন্ট অফিসে যাওয়া, লাইন ধরা ও কাগজপত্র সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হবে বলে দাবি বন্দর সংশ্লিষ্টদের। ইতোমধ্যে নতুন অনলাইন সিস্টেমটি পুরোদমে চালু করতে শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্টসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে বন্দর। অন্যদিকে সিস্টেমটি চালু হবার পর এখনও পর্যন্ত সার্ভার জটিলতা দেখা যায়নি বলে অভিমত বন্দর ব্যবহারকারীদের।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর ছয়টি শিপিং এজেন্ট প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে অনলাইন ডেলিভারি সিস্টেমের পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শুরু করেছিল বন্দর। এরপর গত ২৩ ফেব্রুয়ারি শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিল চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। ওই সভায় ১ এপ্রিল থেকে অনলাইন ডেলিভারি অর্ডার সিস্টেম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এর আগে, পণ্যবাহী পরিবহন বন্দরে প্রবেশ করতে অনলাইন ফি সিস্টেম চালু করেছিল। সে ধারাবাহিকতায় এবার আমদানি-রপ্তানি পণ্যের অনলাইন ডেলিভারি অর্ডার সিস্টেম চালু করেছে কর্তৃপক্ষ।

সনাতন পদ্ধতিতে একজন আমদানি বা রপ্তানিকারককে শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট অফিসে যেতে হতো। লাইনে দাঁড়িয়ে প্রয়োজনীয় সব প্রমাণাদি দেখিয়ে পণ্যের ডেলিভারি অর্ডার নিতে হতো। তার ওপর শুক্র-শনিবার বন্ধের দিনে ডেলিভারি অর্ডার নিতে বিপাকে পড়তে হতো সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের।

আরও পড়ুনঃ  একনেকে ২৪৫৯ কোটি টাকার ৪ প্রকল্প অনুমোদন

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. উমর ফারুক বলেন, বন্দরে চালু করা অনলাইনভিত্তিক টার্মিনাল অপারেটিং সিস্টেমের আওতায় অনলাইন ডেলিভারি অর্ডার সিস্টেমটি চালু করা হয়েছে। আমরা চাই বন্দরে আর কোন সনাতনী পদ্ধতি থাকবে না। তাই ধারাবাহিকভাবে বন্দরের সব কার্যক্রমকে অনলাইনে নিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত আছে। নতুন চালু করা সিস্টেমটির সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমরা শিপিং এজেন্ট, সিএন্ডএফ এজেন্ট, ফ্রেইট ফরওয়ার্ডারস অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট সবাকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আশা করছি সিস্টেমটি পুরোদমে চালু করা সম্ভব হবে। এই সিস্টেমটি চালু হবার ফলে পণ্যের আমদানি বা রপ্তানিকারকদের পণ্যের ডেলিভারি অর্ডার নিতে ভোগান্তি কমে যাবে। সে সঙ্গে পণ্যের আমদানি-রপ্তানিতে গতিশীলতা আরও বহুগুণে বেড়ে যাবে।

শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে পরিচালক খায়রুল আলম সুজন বলেন, আমরা বন্দরে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অনলাইন ডেলিভারি অর্ডার সিস্টেমটি চালুর বিষয়ে একমত পোষণ করি। সকলের মতামত নিয়ে গত ১ এপ্রিল থেকে সিস্টেমটি চালু হয়েছে। পুরোদমে অনলাইন সিস্টেমটি চালু করতে আমাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। আমরাও আমাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। আগামী ৫ তারিখেও এ বিষয়ে আমরা একটি প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিস্টেমটি চালু হয়েছে তিনদিন হলো। এখনও পর্যন্ত সার্ভার জটিলতা সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ আমরা পাইনি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন