রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাষির সুদিন ফিরলো কুমড়ায়

চাষির সুদিন ফিরলো কুমড়ায়

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর অংশে আড়িয়াল বিলে মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। বিস্তৃর্ণ বিলের ভিটায় দেশি জাতের বিশাল সাইজের কুমড়া পাইকারি দরে বিকিকিনি হচ্ছে। বছরের শুরুতেই আড়িয়াল বিলে উৎপাদিত আগাম কুমড়ার বিক্রি শুরু করেন চাষিরা। তবে এখন কুমড়ার ভরা মৌসুম হওয়ায় আড়িয়াল বিল এলাকায় দিনে অন্তত গড়ে ৩০০ থেকে ৬০০ মণ কুমড়া বিক্রি হচ্ছে। চাষিরা এসব কুমড়া ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিদরে বিক্রি করছেন পাইকারদের কাছে। খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বা সমমান ওজনের এক টুকরো কুমড়া বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে। শ্রীনগর উপজেলার আড়িয়াল বিল এলাকার বিখ্যাত পুষ্টিগুনে ভরা সু-স্বাসাদু এসব কুমড়া দেশের বিভিন্ন পাইকারি সবজির বাজারে যাচ্ছে। 

সরেজমিনে দেখা যায়, আড়িয়াল বিল সংলগ্ন গাদিঘাট, আলমপুর, শ্রীধরপুর, বাড়ৈখালী, ষোলঘর এলাকায় বিভিন্ন খালে ও রাস্তার পাশে কুমড়া ভর্তি বেশকিছু ট্রলার ও পিকআপ। এছাড়াও আড়িয়াল বিলের বিভিন্ন জমিতে কুমড়ার স্তুপ করে রাখা হয়েছে বিক্রির জন্য। পাইকাররা সরসরি জমি থেকে এসব কুমড়া সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন রাজধানীর কাওরান বাজার, যাত্রাবাড়ি, শ্যামবাজার, সাভারসহ বিভিন্ন পাইকারি সবজির আড়তে। এসবের মধ্যে ২৫ থেকে ৪০ কেজি ওজনের কুমড়ার সংখ্যাই বেশি। বিশাল আকৃতির সোনালী রংয়ের রিষ্টপুষ্ট মিষ্টি কুমড়া মানুষের দৃষ্টি কাড়ছে। 

স্থানীয় কৃষকরা জানান, এবার বিলে কুমড়ার ভালো ফলন হয়েছে। দেশি জাতের বড় কুমড়ার আবাদ শুধু আমাদের আড়িয়াল বিলের ভিটায় হয়ে থাকে। আঞ্চলিকভাবে এ কুমড়াকে চৈত্রা/বিল্লা আবার কেউ কেউ গাদিঘাটের কুমড়া নামেও ডাকেন। কোনো কোনো ভিটায় ৬০ থেকে ৮০ কেজি ওজনের কুমড়ার ফলন হয়েছে। সবজি পাইকারদের কাছে ১০ থেকে ১২ টাকা কেজিদরে বিক্রি করা হচ্ছে। মোস্তফা নামে এক কুমড়া চাষি বলেন, তিনি ৫টি ভিটায় কুমড়ার চাষ করেছেন। প্রায় দেড় লাখ টাকার কুমড়া বিক্রি হবে তার।

আরও পড়ুনঃ  কোরবানির পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

স্থানীয় সবজির পাইকার মোহাম্মদ আলী বলেন, ভরা মৌসুম বড় সাইজের কুমড়ার আমদানি বেশি। ঢাকার বিভিন্ন সবজির আড়তে প্রতিকেজি কুমড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। খরচ বাদে কেজিতে ৩ টাকা থাকছে। প্রতিদিন আড়িয়াল বিলের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ট্রলার ও ট্রাকে করে প্রায় হাজার মণ কুমড়া ঢাকা শহরে যাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন