শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পণ্যজট কমাতে নিলাম

চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যজট কমানোর লক্ষ্যে নিলামে উঠছে দুটি মাইক্রোবাসসহ কয়েক কোটি টাকার পণ্য। চট্টগ্রাম কাস্টমসে পুরনো দুটি জাপানি মাইক্রোবাস টানা নিলামে তুলেও বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে মাইক্রোবাস দুটি ৮ বার নিলামে তুলেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গাড়ি দুটিসহ ৪৬ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে। নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত সোমবার থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। বিডাররা নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।
  • চট্টগ্রাম বন্দরে কোটি টাকার ৪৬ লট পণ্য নিলামে
  • আজ থেকে ক্যাটালগ-দরপত্র সংগ্রহ শুরু
  • সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না অংশগ্রহণকারীদের

চট্টগ্রাম বন্দরের পণ্যজট কমানোর লক্ষ্যে নিলামে উঠছে দুটি মাইক্রোবাসসহ কয়েক কোটি টাকার পণ্য। চট্টগ্রাম কাস্টমসে পুরনো দুটি জাপানি মাইক্রোবাস টানা নিলামে তুলেও বিডারদের (নিলামে অংশগ্রহণকারী) সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ইতোমধ্যে মাইক্রোবাস দুটি ৮ বার নিলামে তুলেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি গাড়ি দুটিসহ ৪৬ লট পণ্য নিলামে তোলা হচ্ছে। নিলাম শাখার কর্মকর্তারা জানান, নিলাম প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে গত সোমবার থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র বিক্রি শুরু হয়েছে। বিডাররা নির্ধারিত মূল্য পরিশোধ করে আজ ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ-কমিশনার আলী রেজা হায়দার গণমাধ্যমকে বলেন, নিলাম আমাদের রুটিন কার্যক্রমের একটি অংশ। এবারের নিলামে ২টি জাপানি গাড়িসহ ৪৬ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য তোলা হচ্ছে। এর মধ্যে মেগা লটও সংযুক্ত আছে।

সূত্রমতে, জাপানের তৈরি ১৯৯৮ সালের টয়োটা ব্র্যান্ডের নেভি কালারের মাইক্রোবাসের দাম ধরা হয়েছে ২৩ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬২ টাকা। ইতোমধ্যে গাড়িটি ৮ বার নিলামে তোলা হয়। এছাড়া জাপানের তৈরি ২০০৩ সালের নিশান ব্র্যান্ডের সাদা রঙের মাইক্রোবাসের দাম ধরা হয়েছে ২১ লাখ ৩৩ হাজার ৮৫৬ টাকা। এর আগে নিশান মাইক্রোবাসটিও মোট ৮ বার নিলামে তোলা হয়। কাস্টমসে প্রকাশিত ক্যাটালগে গাড়ি দুটি বন্দরের অকশন শেডে ভাঙা অবস্থায় রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

আরও পড়ুনঃ  অবহেলায় ধ্বংস রেলওয়ের স্থাপনা

গাড়ি ছাড়াও নিলামে তোলা হচ্ছে ইজিজি ইনকিউবেটর, ফুটওয়্যার স্যান্ডেল, সেফটি গিয়ার ফ্রেম, প্যাকিং মেটারিয়ালস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, গার্মেন্টস ফেব্রিক্স, সিরামিক ওয়াল টাইলস, কনক্রিট ব্লক, জেলিং এজেন্ট, অ্যাপ্রন, পলিব্যাগ, জুতা, তেঁতুল বিচি, আর্ট পেপার, তৈরি পোশাক, পুরনো যন্ত্রপাতি, ওয়াটার ফিল্টার, ভল্টেজ স্টাবিলাইজার, কম্পিউটার কি বোর্ড, ইলেকট্রনিক ক্যালকুটার, সানগ্লাস, স্লিপার, ক্যাপিটাল মেশিনারি, ক্যালসিয়াম কার্বনেট, গিয়ারবক্স, অ্যাডভার্টাইজিং স্যাম্পল, পেইন্ট ব্রাশ, সেলফ এডহেসিভ, ননওভেন ফেব্রিঙ, জেনারেল মার্চেন্ডাইজ, পিভিসি কম্পাউন্ড, সয়েল স্টাবিলাইজার, সালফিউরিক এসিড, টেঙটাইল কেমিক্যাল, পেপার ট্যাগ ও ল্যাবরেটরি সাপ্লাই।

নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, বিডাররা অফিস চলাকালীন চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা ও নিলাম পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স কে এম করপোরেশনের মাঝিরঘাটের অফিস থেকে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করতে পারবেন। এছাড়া ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনারের (সদর) কার্যালয় থেকেও মূল্য পরিশোধ করে ক্যাটালগ ও দরপত্র সংগ্রহ করা যাবে। নিলামের দরপত্র আজ ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি বেলা ২টার মধ্যে জমা দেওয়া যাবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তার (প্রশাসন) কার্যালয়ে, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ও ঢাকার কাকরাইলে অবস্থিত শুল্ক আবগারি ও ভ্যাট কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনারের (সদর) কার্যালয়ে।

আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি বেলা আড়াইটায় বিডারদের উপস্থিতিতে দরপত্রের বাক্স খোলা হবে। নিলাম সম্পন্ন হওয়ার পর সর্বোচ্চ দরদাতাদের অনুকূলে পণ্য বিক্রির অনুমোদন দেবেন নিলাম কমিটির সদস্যরা। নিলামে অংশগ্রহণ করতে প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে দরপত্রের সাথে হালনাগাদ করা ট্রেড লাইসেন্স, ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন সনদ, টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। ব্যক্তির ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি এবং হালনাগাদ টিআইএন সার্টিফিকেটের কপি দাখিল করতে হবে। এছাড়া ক্যাটালগে উল্লেখিত শর্ত পূরণ করে নিলামে অংশ নেওয়া যাবে।

আরও পড়ুনঃ  আজ দেশের যে ১৬ অঞ্চলে হতে পারে ঝড়বৃষ্টি

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন