শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মডার্নার ‘দূষিত’ টিকা: জাপানে তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যু

মডার্নার 'দূষিত' টিকা: জাপানে তৃতীয় ব্যক্তির মৃত্যু

‘দূষিত’ হিসেবে চিহ্নিত হওয়া মডার্নার টিকার তিনটি ব্যাচের একটি থেকে টিকা গ্রহণের পর জাপানে আরেকজন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করেছেন। এ নিয়ে টিকাজনিত কারণে দেশটিতে মারা গেলেন তিনজন। গত ১১ আগস্ট টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরদিন মারা যান ৪৯ বছর বয়সী ঐ ব্যক্তি। তবে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, টিকার সাথে তার মৃত্যুর এখন পর্যন্ত সরাসরি যোগসূত্র পাওয়া যায়নি।

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তিটির স্বাস্থ্যজনিত একমাত্র সমস্যা ছিল বাকহুইটে (বজরা) অ্যালার্জি। তারা আরো বলেছে, আগের দুটি মৃত্যুর ঘটনার মতো সর্বশেষ মৃত্যুটিও টিকার সাথেই সংশ্লিষ্ট কিনা তা এখনও নির্ধারণ করা যায়নি।

স্টেইনলেস স্টিলের কণা খুঁজে পাওয়ায় মডার্না ভ্যাকসিনের ১.৬৩ মিলিয়ন ডোজ প্রত্যাহার করা হয় গত ২৬ আগস্ট। ত্রুটিপূর্ণ সে ব্যাচ তিনটি মডার্নার চুক্তির অধীনে স্পেনে তৈরি করা হয়েছিল।

এদিকে সাম্প্রতিক এসকল প্রাণহানির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেনি। তবে, গত সপ্তাহে স্থানীয় পরিবেশক টেকেডা ফার্মাসিউটিক্যালের সাথে একটি যৌথ বিবৃতিতে তারা বলে, “মডার্নার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনে স্টেইনলেস স্টিলের কণার এই বিরল উপস্থিতি রোগীদের নিরাপত্তায় ঝুঁকি সৃষ্টি করে না, এবং এটি পণ্যের উপকারিতা/ ঝুঁকিতেও বিরূপ প্রভাব ফেলে না”।

এর আগে গত মাসের শুরুর দিকে গুরুতর স্বাস্থ্যগত সমস্যা না থাকা দুজন পুরুষ মডার্না টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের কয়েক দিনের মধ্যে মারা যান। তাদের দুজনেরই বয়স ছিল ত্রিশের কোঠায়।

দূষিত কণাগুলো আসলে ভায়াল স্টপার থেকে খসে পড়া রাবারের টুকরা বলে মনে করা হচ্ছে যা ভুল পদ্ধতিতে সূঁচ প্রবেশ করানোর ফলে ভ্যাকসিনের তরলে প্রবেশ করেছিল; আগস্টের শেষদিকে এবং সেপ্টেম্বরের শুরুতে ওকিনাওয়া, গুনমা এবং কানাগাওয়াতে এ ঘটনাগুলো ঘটে। তবে যারা দূষিত ভ্যাকসিনের ডোজ নিয়েছিলেন, তাদের কেউই সমস্যাজনিত কোনো রিপোর্ট করেন নি।

আরও পড়ুনঃ  বেচা-বিক্রির ধুমেও হাসি নেই কৃষকের মুখে

জাপানে ভ্যাকসিন প্রোগ্রামের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী তারো কনোর মতে, ত্রুটিপূর্ণ তিনটি ব্যাচ থেকে ৫ লাখের বেশি মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে।

যদিও জাপানের জনসাধারণকে মডার্নার কমপক্ষে ১২.২ মিলিয়ন ডোজ দেওয়া হয়েছে, দেশটিতে ব্যবহৃত বেশিরভাগ টিকাই ফাইজারের।

জাপানে এ পর্যন্ত প্রায় ১৩৬ মিলিয়ন টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, দেশটির মোট জনসংখ্যার ৪৮ শতাংশ মানুষ টিকার ডোজ সম্পন্ন করেছে, এবং কমপক্ষে ৫৯ শতাংশ মানুষ পেয়েছে অন্তত একটি ডোজ।

এদিকে টোকিওতে জুলাইয়ের মাঝামাঝি থেকে শুরু হওয়া নতুন সংক্রমণের সংখ্যা গত সোমবার প্রথমবারের মতো এক হাজারের নিচে নেমে এসেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন