বিশ্বে প্রতিদিন কমপক্ষে ২৯ হাজার মেয়ে বাল্যবিয়ের শিকার হতে হয়। পরে সাংসারিক দায়িত্ব, পারিবারিক ও সামাজিক চাপ এবং মাতৃত্বজনিত সমস্যাসহ নানা কারণে বাধ্য হয়ে পড়াশুনা ছেড়ে দিচ্ছে তারা। আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশনের এক সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এছাড়া প্রতিবেদনে আরও উঠে আসে, করোনার কারণে আগামী দুই বছরে আরও অন্তত ৪০ লাখ মেয়ে শিশু বাল্যবিয়ের ঝুঁকিতে পড়বে। এর পেছনে স্কুল বন্ধ থাকা, দারিদ্র্য বেড়ে যাওয়াসহ করোনা সম্পর্কিত নানা কারণ জড়িত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এ হিসেব অনুযায়ী, আগামী দুই বছরে সারা বিশ্বে ২ কোটি ৮০ লাখ মেয়ে শিশু ১৮ বছরের আগেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবে।
সংস্থাটির বাল্যবিয়ে বিশেষজ্ঞ এরিকা হল জানান, যখন দুর্যোগ বা মহামারির মতো কোনও সংকট তৈরি হয় তখন বাল্যবিয়ের হার বেড়ে যায়। বাল্যবিয়ে বেড়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ স্কুলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া। তাছাড়া লকডাউনের কারণে অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিয়ে রোধের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য।
অন্যদিকেমহামারীর কারণে মেয়েদের কাছে প্রজনন স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছানোতেও বিঘ্ন ঘটছে। এতে অনেক তরুণীরই অসময়ে গর্ভধারণের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ।এছাড়া করোনা শেষ হলেও অনেক মেয়ে শিশু স্কুলে আর না-ও ফিরতে পারে।
জাতিসংঘের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, করোনা মহামারীর কারণে আগামী এক বছরে আরও ১ কোটি ৩০ লাখ শিশু বাল্যবিয়ের শিকার হবে।
আনন্দবাজার/রনি