শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক দশকে ৩৬ হাজারেরও বেশি অভিবাসী পানিতে ডুবে মারা গেছে: জাতিসংঘ

এক দশকে ৩৬ হাজারেরও বেশি অভিবাসী পানিতে ডুবে মারা গেছে জাতিসংঘ

বিশ্বের বিভিন্ন অভিবাসন রুটে গত এক দশকে রেকর্ডসংখ্যক অভিবাসন প্রত্যাশী মারা গেছেন।

জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইওএম জানিয়েছে, বেশিরভাগ মারা গেছেন পানিতে ডুবে। সংখ্যাটি ৩৬ হাজারেরও বেশি।

সম্প্রতি প্রকাশিত আইওএম এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত এক দশকে রেকর্ডসংখ্যক ৬৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশী বিভিন্ন অভিবাসন রুটে মারা গেছেন। যাদের মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে পানিতে ডুবে। অভিবাসন রুটে থাকা সাগর ও মহাসাগরগুলোর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে ভূমধ্যসাগর। উত্তর আফ্রিকার উপকূল থেকে রওনা হয়ে ইউরোপের দক্ষিণে পৌঁছাতে বছরের পর বছর ধরে এই রুটটিই ব্যবহার করা হচ্ছে।

অভিবাসনে বেশি মারা গেছেন জনপ্রিয় এবং ঝুঁকিপূর্ণ রুট ভূমধ্যসাগরে। যেখানে মারা গেছেন ২৭ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে, অনেক ঘটনার প্রকৃত তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। তাই তাদের প্রতিবেদনে যে পরিসংখ্যান তুলে ধরা হয়েছে, তা প্রকৃত সংখ্যা থেকে অনেক কম বলে উল্লেখ করেছে আইওএম।

ভূমধ্যসাগর খুবই বিপজ্জনক অঞ্চল এবং এই পথে যাত্রাও বেশ ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন আইওএম এর ডেটা বিশ্লেষক আন্দ্রিয়া গার্সিয়া বোরহা। আইওএম আরও জানিয়েছে, রেকর্ডসংখ্যক মৃত্যু ও নিখোঁজের মধ্যে প্রতি তিন জনে দুই জন অজ্ঞাত হিসেবে রয়ে গেছেন। অর্ধেকেরও বেশি অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদের লিঙ্গ ও বয়সও শনাক্ত করতে পারেনি আইওএম। তাদের জাতীয়তা নিয়েও নেই প্রকৃত তথ্য। আইওএম জানিয়েছে, এই পরিসংখ্যানে, অভিবাসনের জন্য নিরাপদ পথ না থাকায় সংঘাতপূর্ণ এলাকা থেকে পালিয়ে আসা মানুষেরা যে বিপদের মুখে পড়ছেন, সেটাই ফুটে উঠেছে।

আরও পড়ুনঃ  করোনায় আক্রান্ত যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন অভিবাসন রুটে সাড়ে আট হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছেন। এক দশক আগে থেকে এই তথ্যগুলো সংরক্ষণ করছে আইওএম। সংস্থাটির মতে, ২০২৩ সালটি ছিল অভিবাসনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বিপর্যয়কর বছর।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন