শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পদত্যাগ করলেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ

পদত্যাগ করলেন ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ

পদত্যাগ করলেন ফিলিস্তিনের ক্ষমতাসীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শাতায়েহ। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মোহাম্মদ শাতায়েহ।

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনের খবরে মোহাম্মদ শাতায়েহ বলেছেন, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ, গণহত্যা অনাহার এবং পশ্চিম তীর-জেরুজালেমে সহিংসতা বৃদ্ধির প্রতিবাদে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি।

এছাড়া, গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের মধ্যে বৃহত্তর রাজনৈতিক ঐক্যের সুযোগ দিতে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে ঢেলে সাজাতে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের ওপর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে শাতায়েহ পদত্যাগ করলেন। একই সময়ে গাজায় যুদ্ধের পর উপত্যকাটি শাসনের রাজনৈতিক কাঠামো গঠনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক উদ্যোগও জোরদার হয়েছে।

এদিকে শাতায়েহ পদত্যাগ করলেও তা গ্রহণ না করার এখতিয়ার আব্বাসের রয়েছে। তিনি হয়ত স্থায়ী প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের আগ পর্যন্ত তাকে অন্তবর্তীকালীন হিসেবে দায়িত্ব চালিয়ে যেতে বলতে পারেন। মন্ত্রিসভায় পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, গাজার ক্রমবর্ধমান বাস্তবতাকে মাথায় রেখে পরবর্তী ধাপ নির্ধারণ করতে হবে। পরের ধাপে নতুন সরকার ও রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রয়োজন হবে। এতে প্রয়োজন হবে পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের এখতিয়ারের সম্প্রসারণ।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন শাতায়েহ। ৩০ বছর আগে ওসলো চুক্তির আওতায় গঠিত হয় ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ। দখলকৃত পশ্চিম তী শাসনে সীমিত স্বায়ত্তশাসন পায় তারা। কিন্তু ২০০৭ সালে তাদের কাছ থেকে গাজার নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করে মূলত ফাতাহ। মস্কোতে বুধবার ফাতাহ ও হামাস ঐকটি ঐক্য সরকার গঠন নিয়ে আলোচনায় বসতে পারে।

আরও পড়ুনঃ  ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানে লাভের চেয়ে সেবাটা গুরুত্বপূর্ণ’

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় আক্রমণ চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। ওই দিন হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১২০০ জন নিহতের জবাবে এই হামলা চালাচ্ছে তারা। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মতে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩০ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন