জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনের দুইদিন পর পাকিস্তানে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্স (সাবেক টুইটার)।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সাইবার সিকিউরিটি ও পর্যবেক্ষক সংস্থা নেটব্লকস এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক বার্তায় সংস্থাটি বলেছে, ‘নিশ্চিত: লাইভ মেট্রিক্স দেখাচ্ছে দেশব্যাপী এক্স/টুইটারে বিড়ম্বনা দেখা যাচ্ছে। মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিয়ে বিতর্কিত নির্বাচন হওয়ার দুইদিন পর এ ঘটনা ঘটল।’
এ নিয়ে ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, সাধারণ ইন্টারনেট দিয়ে তারা এক্সে প্রবেশ করতে পারছেন না। এক্সে ঢুকতে তাদের ভিপিএন ব্যবহার করতে হচ্ছে। উসামা খিলজিল নামের একজন লিখেছেন, “নির্বাচনের দুইদিন পর পাকিস্তানে এক্সে শুধুমাত্র ভিপিএন ব্যবহার করে ঢোকা যাচ্ছে। কারণ অনলাইনে ভোট কারচুপির প্রমাণ আসা শুরু করেছে। এছাড়া ভোট গণনার স্বচ্ছতা নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রশ্ন তোলার পর এক্স বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
![](https://dainikanandabazar.com/wp-content/uploads/2024/02/pti-feb9-20240210191405.jpg)
ব্যাপক কারচুপি অভিযোগের নির্বাচনের দিন মোবাইল পরিষেবা ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধের পর এবার পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ দেশজুড়ে টুইটার বন্ধ করে দিয়েছে। স্বচ্ছতা হ্রাস করতে এবং রাজনৈতিক ফলাফলে কারচুপি করতে এখন প্রতিদিনই পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে আম্মার রশিদ নামের অপর একজন লিখেছেন।
দেশটির সরকার গঠনে পিটিআইকে আমন্ত্রণ জানাবেন প্রেসিডেন্ট, দাবি গহর খানের ১৭০ আসনে জয়ের দাবি, সরকার গঠনের পরিকল্পনার কথা জানাল পিটিআই। এছাড়া এক্স পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ইনসাফ (পিটিআই)। এ ব্যাপারে একটি পোস্টে দলটি বলেছে, এটি পুরোপুরি লজ্জাজনক। নির্বাচনের দিন মোবাইল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার পর তারা এখন পাকিস্তানে এক্স বন্ধ করে দিয়েছে। কারণ পিটিআই ভোট কারচুপি ফাঁস করে দিচ্ছিল। গত বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাকিস্তানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবারের নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে অস্বাভাবিক ধীরগতি দেখা গেছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল শুক্রবার রাত পর্যন্ত ২৪৫টি আসনের ফলাফল জানা গেছে। সেখানে দেখা গেছে, ৯৮টি আসনে জয়ী হয়েছেন ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের (পিটিআই) স্বতন্ত্র প্রার্থীরা, ৬৯টি আসন পেয়েছে নওয়াজ শরিফের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএলএন) এবং বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) পেয়েছে ৫১টি আসন। তবে পিটিআই দাবি করছে, তারা ১৭০টি আসনে জয় পেয়েছে। বাকি আসনগুলোর ফলাফলে কারচুপি করে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্র: দ্য ডন