শনিবার, ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৩শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনের তৈরী বিশ্ব মানচিত্রে থেকে ইসরায়েলের নাম বাদ

চীনের তৈরী বিশ্ব মানচিত্রে থেকে ইসরায়েলের নাম বাদ

চীনের করা বৈশ্বিক মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণ থেকে রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের নাম বাদ দেয়া হয়েছে। শীর্ষ দুই চীনা কোম্পানি বাইদু এবং আলিবাবা সোমবার মানচিত্রের যে অনলাইন সংস্করণ প্রকাশ করেছে, তাতে নেই ইহুদিবাদী দেশটির নাম।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল কর্তৃপক্ষ সর্বপ্রথম এই বিষয়টি নজরে আনে। মার্কিন সংবাদমাধ্যমের বরাতে দ্য ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লুক্সেমবার্গের মতো ক্ষুদ্র দেশের নামও (চীনা মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণে) দেখা যাচ্ছে, কিন্তু সেখানে কোথাও ইসরায়েলের নাম নেই।

যেখানে লুক্সেমবার্গের আয়তন মাত্র ২ হাজার ৫৮৬ বর্গকিলোমিটার আর ইসরায়েলের আয়তন ২২ হাজার ৭২ বর্গকিলোমিটার। মানচিত্রে ইসরায়েলের আন্তর্জাতিক সীমানা দেখানো হলেও সেখানে উল্লেখ করা হয়নি ইহুদিবাদী দেশটির নাম।

চীনের অনেক ইন্টারনেট ব্যবহারকারীও ব্যাপারটি লক্ষ্য করেছেন। ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রতিবেদন প্রকাশ করার পরও মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণনটি একই রকম আছে। চীনের ভেতরেও এ ব্যাপারটি নিয়ে আলোচনা চলছে বলে জানা গেছে। বৈশ্বিক মানচিত্রের অনলাইন সংস্করণ থেকে ইসরায়েলকে বাদ দিতে চীনের সরকারি পর্যায় থেকে কোনো নির্দেশ এসেছে কি না জানতে চাওয়া হয়েছিল বাইদু এবং আলিবাবা কর্তৃপক্ষের কাছে। তবে এ বিষয়ে মন্তব্য এড়িয়ে যায় দুই কোম্পানি।

চলতি মাসের ৭ অক্টোবর ভোরে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলের ইরেজ এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সীমান্ত বেষ্টনী বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন কয়েক শত প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা। সেখানে প্রথমেই কয়েক শ বেসামরিক মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেন তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২১২ জন ইসরায়েলিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিককে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করেন হামাস যোদ্ধারা।

আরও পড়ুনঃ  উহান মার্কেট থেকে ছড়িয়েছে করোনা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

হামলার কয়েক ঘণ্টা ব্যবধানে সেদিনই গাজা উপত্যকায় বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় গাজার বিদ্যুৎ, পানি, খাবার সরবরাহ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর অভিযানে গত তিন সপ্তাহে এই উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং নিহতদের ৭০ শতাংশই নারী-শিশু। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ১ হাজার ৪০০ জনের কিছু বেশি ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিক।

চীন এই সংঘাতের শুরু থেকেই পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ এড়িয়ে দুই পক্ষকে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে আসছে। হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উল্লেখ করা থেকে বিরত থাকে চীন। দেশটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক দূত ঝাই জুন সম্প্রতি বলেছেন, চীন চায় মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বন্ধ হোক এবং উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুক। মধ্যস্থতার লক্ষ্যে মিসরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয় রক্ষা করে চলেছে বেইজিং।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন