গাজার আল–আহলি আল–আরবি (ব্যাপটিস্ট হাসপাতাল)-এ ইসরায়েলের নৃশংস হামলায় নারী-শিশুসহ ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
যুক্তরাষ্ট্রের সিবিএস নিউজ বুধবার (১৮ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে জানায়, গত ১৬ বছরে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘটিত ৫টি যুদ্ধের মধ্যে এটিই ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে এককভাবে সবচেয়ে বড় প্রাণহানির ঘটনা। তবে ইসরায়েল এ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে উল্টো হামাস ও ফিলিস্তিনি সংগঠনগুলোর ওপর দায় চাপিয়েছে।
অ্যাংলিকান চার্চ পরিচালিত গাজার এ হাসপাতাল বিস্ফোরণের জন্য ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী প্রথমে হামাসকে দায়ী করেছিল। পরে তারা জানায় যে, এটি গাজা-ভিত্তিক সংগঠন প্যালেস্টানিয়ান ইসলামিক জিহাদের কাজ। ইসলামিক জিহাদের ‘ব্যর্থ রকেট উৎক্ষেপণ’র ফলে হাসপাতালে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে ইসরায়েলের এ দাবিকে ইসলামিক জিহাদ বলছে, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা।’ সিবিএস নিউজ জানায়, ৪ দিন আগেও হাসপাতালটিতে রকেট হামলা চালিয়েছিল ইসরায়েল। সেসময় হাসপাতালের কয়েকজন কর্মী আহত হন বলে জানিয়েছে হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্বে থাকা অ্যাংলিকান চার্চ।
আল-আহলি আল-আরবি হাসপাতালের চিকিৎসক ফাদল নাইম সিবিএস নিউজকে বলেন, গতকাল রাতে বিধ্বংসী বিস্ফোরণের মাত্র ২ দিন আগে হাসপাতালটি সম্পূর্ণ খালি করার জন্য সতর্কতা জারি করেছিল ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। তারা (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) আমাদের মেডিকেল ডিরেক্টরকে ডেকেছিল। সেসময় তাকে বলা হয়, ‘আমরা (ইসরায়েলি সেনাবাহিনী) আপনাকে গতকাল দুটি রকেটের মাধ্যমে সতর্ক করেছিলাম, আপনি এখনো কেন হাসপাতালে কাজ করছেন, কেন আপনি হাসপাতালটি খালি করেননি’, বলেন তিনি।
