শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিহারে বিষাক্ত মদপানে ৭০ জনের মৃত্যু

বিহারে বিষাক্ত মদপানে ৭০ জনের মৃত্যু

ভারতের বিহার রাজ্যে বিষাক্ত মদপানে অন্তত ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিহারের সারণ জেলার চাপড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর: বার্তা সংস্থা এএনআই

শুক্রবার গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ছয় বছর আগে বিহারে মদ নিষিদ্ধ করার পর থেকে বিষাক্ত মদপানে এটাই সর্বোচ্চ মৃত্যু।

সারান জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ মীনা বলেছেন যে, গত ৪৮ ঘন্টায় জেলা জুড়ে অভিযান চালানো হয়েছে এবং ১২৬ জন মদ ব্যবসায়ীকে ধরা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে চার হাজার লিটারের বেশি অবৈধ মদও। এ ঘটনায় কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বলেছেন, মদ্যপানের কারণে কেউ মারা গেলে তাকে কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।

বিহারের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, আপনারা সবাই আগে নিষিদ্ধের পক্ষে ছিলেন। এখন কি হয়েছে?

উল্লেখ্য, এপ্রিল, ২০১৬ থেকে বিহারে মদ বিক্রি ও পানে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি আছে, কিন্তু রাজ্য সরকার এ নিষেধাজ্ঞা পুরোপুরি কার্যকর করতে পারছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এনএইচআরসি গণমাধ্যমের একটি প্রতিবেদন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গ্রহণ করেছে। প্রতিবেদনে বিহারের সারণ জেলায় কিছু লোকের মৃত্যু বিষাক্ত মদপানে হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

এক বিবৃতি অনুযায়ী, বিহারের মুখ্য সচিব ও ডিজিপির প্রতি নোটিশ জারি করে ঘটনার বিস্তারিত প্রতিবেদন চেয়েছে। এতে পুলিশের দায়ের করা মামলার তথ্য, এ ঘটনায় অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়াদের চিকিৎসা বিষয়ক এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দেওয়া ক্ষতিপূরণের (যদি দেওয়া হয়ে থাকে) বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে। এই শোচনীয় ঘটনার জন্য দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কমিশন তাও জানতে চেয়েছে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদেশ দেওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  ইউক্রেনে অস্ত্রের ঢল নামাচ্ছে বাইডেন

প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিষাক্ত মদপানের এ ঘটনায় মৃতদের অধিকাংশই সারণের মারোদা থানার মাশরাখ, ইশুয়াপুর ও আমানুর গ্রামের। গ্রামগুলোর বাসিন্দারা স্থানীয় একটি সাধারণ দোকান থেকে ওই মদ কিনেছিল। বহু লোক ওই দেশি মদ পান করেছিল বলে জানায় স্থানীয় পুলিশ।

পুলিশ সুপার সন্তোষ কুমার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বিষাক্ত মদের মামলার তদন্তে একটি এসআইটি গঠন করা হয়েছে। এতে প্রায় ৩১ জন পুলিশ অফিসারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ডিএসপি পর্যায়ের তিনজন কর্মকর্তাও রয়েছেন। ঘটনা তদন্ত করতে কাজ করছে পুলিশ।

আনন্দবাজার/কআ

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন