যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ডিভি লটারির মাধ্যমে ভিসা দিতে আবেদন গ্রহণ শুরু হচ্ছে আজ (৫অক্টোবর) থেকে।
ডাইভারসিটি ভিসা (ডিভি) প্রোগ্রামের অধীনে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত এই দেশটিতে অভিবাসনে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা অনলাইনে বুধবার (৫ অক্টোবর) থেকে আবেদন করতে পারবেন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) এই ঘোষণা দিয়েছে।
তবে বাংলাদেশসহ ১৯টি দেশের বাসিন্দারা ডিভি লটারিতে আবেদনের এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
‘গ্রিন কার্ড’ নামে পরিচিত ২০২৪ সালের এই ডাইভারসিটি ভিসা প্রোগ্রামটিতে আবেদন শুরু হচ্ছে ৫ অক্টোবর থেকে যা চলবে আগামী ৮ নভেম্বর পর্যন্ত। অনলাইনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের (https://dvprogram.state.gov) মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।
১৯টি দেশের নাগরিক ডিভি লটারিতে আবেদন করতে পারবেন না। সেগুলো হলো- বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, কলোম্বিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, এল সালভাদর, হাইতি, হন্ডুরাস, জ্যামাইকা, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য (উত্তর আয়ারল্যান্ড ছাড়া), ভেনেজুয়েলা এবং ভিয়েতনাম।
যদিও ২০১২ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড তথা বৈধভাবে থাকার জন্য ডিভি লটারির আওতায় ছিল বাংলাদেশ। ২০১৩ সাল থেকে বাংলাদেশের কৌটা পূরণ হয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশিরা আমেরিকান ডিভি লটারির জন্য আর আবেদন করতে পারছেন না। বাংলাদেশ থেকে এ পর্যন্ত পঞ্চাশ হাজারেরও বেশি লোক ডিভি লটারির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়েছেন। মূলত অধিক সংখ্যায় অভিবাসী হওয়ার কারণেই বাংলাদেশ থেকে আপাতত ডিভি লটারিতে আবেদনের সুযোগ রাখা হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ২০২৪ সালের এই ডাইভারসিটি ভিসা প্রোগ্রামের জন্য তারা কোনো কাগজের আবদনপত্রে আবেদনের অনুমতি দেবে না। মূলত যুক্তরাষ্ট্রে অধিবাসীদের বৈচিত্র তুলে ধরার প্রয়াসে কংগ্রেস বিশ্বব্যাপী অভিবাসীদের জন্য প্রতি বছর ৫০ হাজারেরও বেশি গ্রীন কার্ড অনুমোদন করে থাকে।
একজন প্রার্থীকে একবারের বেশি আবেদন করতে নিষেধ করা হলেও স্বামী-স্ত্রী আলাদা দুটি আবেদনের সুযোগ রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
ডাইভার্সিটি এর সংক্ষিপ্ত রূপই হচ্ছে ডিভি। যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ পন্থায় যাওয়া এবং বসবাসের জন্য গত শতাব্দীর আশির দশকে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ডিভি লটারি ভিসা চালু করে।
আর ডিভি লটারি ভিসার মাধ্যমে অনুমোদিত যেকোন দেশের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পেয়ে থাকেন।
আনন্দবাজার/কআ
