মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রশান্তির ছোঁয়া বেতুয়ায়, ঘুরে দেখেছেন কি?

প্রশান্তির ছোঁয়া বেতুয়ায়, ঘুরে দেখেছেন কি?

প্রিয়জনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে কার না ভালো লাগে। তাই আত্মীয়-স্বজন নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায়। এখানে রয়েছে পর্যাপ্ত পর্যটন কেন্দ্র। তারমধ্যে জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল স্কয়ার শিশুপার্ক, খেজুরগাছিয়ার মিনি কক্সবাজার, খামার বাড়ি এবং চরফ্যাশন সদর থেকে মাত্র ৭ কিলোমিটার দূরে প্রকৃতির নির্মল ছোঁয়া প্রশান্তি বিনোদন পার্ক। এখানে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে আরও বর্ণিল আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে বেতুয়া পার্টি সেন্টার। সেখানে রয়েছে পর্যটকদের সুন্দর পরিবেশে বসার স্থান ও মুখরোচক মানসম্মত অনেক খাবারের সমাহার। সেই সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে সঙ্গে নিয়ে ইচ্ছেমতো ভেসে বেড়াতে চাইলে  বেতুয়া প্রশান্তি পার্ক থেকে উত্তর দিকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে চরফ্যাশন-লালমোহনের সীমান্তবর্তী এলাকার খালে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন কায়াকিং পয়েন্ট।

কায়াকিং বোটটি দেখতে ছোট্ট একটি ডিঙি নৌকার মতো। একটিতে সর্বোচ্চ দুইজন আর  তিনজন বসতে পারেন এই ছোট্ট সরু নৌকাতে। ফাইবার, কাঠ ও পাটের তন্তু দিয়ে তৈরি সরু নৌকাটি চালাতে বেগ পেতে হয় না একেবারেই। কেবল নৌকা ডানে ও বামে নেওয়ার কৌশল রপ্ত করতে পারলেই তর তর করে চলতে শুরু করবে সামনের দিকে।

জানা যায়, গত ১৭ মে ২০২১ সালে ঢাকার নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আরেফিন, জিসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেরাব হোসেন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শাহরিয়ার সিয়াম এবং বিমান ও পর্যটন মন্ত্রাণালয়ের শিক্ষানবিস পাইলট তৌফিক ইলাহি রাহিন চার বন্ধু মিলে করোনাকালে নিজেদের হাতখরচ ও টিউশনির টাকা বাঁচিয়ে রেখে চরফ্যাশন বেতুয়া- লালমোহনে সীমান্তবর্তী খালে এই কায়াকিং পয়েন্ট উদ্বোধন করেন।

আরও পড়ুনঃ  কাশফুলের সৌন্দর্যে মুগ্ধ প্রকৃতি প্রেমীরা

কায়াকিং বোটের দায়িত্ব থাকা মো. মাফু আলম জানান, এখানে দুই ধরনের কায়াক বোট রয়েছে। এরমধ্যে ডাবল কায়াক এবং ট্রিপল কায়াকবোটগুলো প্রতি ঘণ্টায় ১৫০  টাকা হারে ভাড়া দেওয়া যায়। আর সব মিলিয়ে ৫ টি ডাবল কারাক বোট রয়েছে। তবে কায়াকিং এর সময়ে বেশকিছু রীতি নিয়ম মানতে হয়। বিশেষত লাইফজ্যাকেট পরিধান, ধূমপান থেকে বিরত থাকা ও নিয়য়ানুযায়ী কায়াকিং করা। তিনি আরো বলেন, প্রথম প্রথম কায়াক বোট থেকে আমাদের আয় হতো, মৌসুমে আরো বাড়ত। তবে এবার শীতের শুরুতে কায়াকিং ট্যুরিজমে কিছুটা ভাটা পড়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন