ভোরের প্রকৃতিতে ঠান্ডা ঠান্ডা ভাব। সকাল সন্ধ্যা গাছের পাতায়, ঘাসের ডগায় ও সোনালি ধানের শীষে মুক্তার মতো শিশির কনার দেখা মিলছে। পাশাপাশি বাতাসে রয়েছে হিমেল অনুভূতিও। তবে দিনে গরম, রাতে শীতল হাওয়া আর ভোরের ঘন কুয়াশা বলে দিচ্ছে শীত বেশি দূরে নয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় গত কয়েকদিন ধরেই শুরু হয়েছে শীতের আমেজে। দিনের বেলায় কিছুটা গরম অনুভূত হলেও সন্ধ্যা নামার পর একটু একটু করে কুয়াশা জড়িয়ে ধরছে প্রকৃতিকে। মাঝরাত থেকে শীতের আমেজ কিছুটা টের পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিদিনই একটু একটু করে কমছে তাপমাত্রা। হালকা শীতের অনুভূতি জাগিয়ে দিয়েছে মানবজাতিসহ সকল প্রাণীকে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী কার্তিক মাসে শীতের শুরু হয়ে থাকে। তাই কুয়াশা আর শিশির কনা জানান দিচ্ছে শীতের বার্তা।
এদিকে শরতের মিশ্র আবহাওয়ায় শিশু ও বয়স্কদের ঋতু পরিবর্তনজনিত রোগব্যাধির প্রকোপ বাড়লেও আমন খেত এবং আগাম জাতের শীতকালীন ফসলের জন্য এটি খুব উপকারি বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
এদিকে শীতের আগমনী বার্তায় স্থানীয় হাটবাজারগুলোতে শোভা পাচ্ছে গরম পোশাক। ফুটপাত থেকে শুরু করে বিভিন্ন মার্কেটে শীতের পোশাক দোকানিরা তুলেছেন। ব্যবসায়ী আল-আমিন মিয়া বলেন, শীতের অগমনে গত বছরের বিভিন্ন শীতের পোশাক দোকানে উঠানো হয়েছে। শীতের পোশাক বিক্রি শুরু না হলেও বাচ্চাদের পোশাক কিছু বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে বেচাকেনা শুরু হবে।
স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিন ধরে দিনে বেশ গরম আবহাওয়া বিরাজ করছে। তবে, শেষ রাতের দিকে হালকা ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। ভোররাতে কেউ কেউ রাতে কাঁথা-কম্বল জড়িয়ে নিচ্ছেন। তাছাড়া মধ্যরাতের পর থেকে হালকা কুয়াশা পড়ছে। সকাল ৮টা পর্যন্ত মাঠ-ঘাট, ঘাসের ডগা, গাছপালা, ধানের পাতায় শিশির জমে থাকছে। এমন আবহাওয়ায় ঠান্ডা-কাঁশির প্রকোপ বাড়তে পারে।
সকালে হাঁটতে বের হওয়া মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, গত কয়েক দিন ধরে রাতের বেলা শীত অনুভূত হচ্ছে। তবে সূর্য্য উঠার পর কুয়াশা আস্তে আস্তে কমে যায়।
আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হিমেল খান বলেন, গত কয়েক দিন ধরে শীতের আমেজ লক্ষ করা যাচ্ছে। শীতের সময়ে রোগ বালাইয়ের প্রকোপ দেখা দেয়। তাই এ সময় রোগিসহ সবাইকেই বেশি সতর্ক থাকতে হবে।