ঢাকা | শুক্রবার
২২শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ,
৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকৃতিতে হেমন্তের শিশির

প্রকৃতিতে হেমন্তের শিশির

গভীর রাত থেকে সকাল ৭ পর্যন্ত হালকা কুয়াশা ও শিশির বিন্দু ঢেকেছে চিলাহাটির প্রকৃতিকে। ঋতু চক্রের পথ পরিক্রমায় এখনো শেষ হয়নি শরৎ বন্ধনাও। এর মধ্যে শীতের আমেজকে অনেকে প্রকৃতির বৈরি খেয়াল বলে মনে করছেন। কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টির পরেও দিনে গরমের পাশাপাশি আকাশে ভাসছে সাদা মেঘের ভেলা।

মাঠে চোখ মেললেই দেখা যায় ঘাস ও ধানের কচি ডগায় জমছে শিশির বিন্দু। সেই সঙ্গে অনুভূত হচ্ছে হিম হাওয়া। যেন হেমন্ত তার প্রকৃতির সবটুকু উজাড় করে বিলিয়ে দিচ্ছে। বাংলা বর্ষ পঞ্জিকা মতে এখন শরত ঋতুর শেষ পর্যায়ে। কার্তিক কড়া নাড়ছে দোরগোড়ায়। কার্তিকে শুরু হবে হেমন্তের পথ চলা। শেষ হবে অগ্রহায়ণে। হেমন্তের পরে শীত ঋতু আসার নিয়ম প্রকৃতিতে। কিন্তু এবার হেমন্তেই শীতের আগমন ঘটবে বলে অনেকে মনে করছেন।

ক্লান্ত দুপুরে সোনাঝড়া রোদের পাশাপাশি সকাল সন্ধ্যায় ঘাসের ডগায় জমা শিশির বিন্দু, হিম বাতাস ও কুয়াশার উপস্থিতি এই বার্তাই দিচ্ছে কার্তিকের হাত ধরে চলে এলো নবান্নের ঋতু হেমন্ত। এলাকাবাসীরা জানান, সকাল বেলায় মাঝে মধ্যে পুরো এলাকা কুয়াশায় ছেয়ে যাচ্ছে। ঘাস ও গাছের পাতায় জমে থাকছে শিশির বিন্দু। মাঠের পর মাঠ সবুজ খেত ফোঁটা ফোঁটা শিশির বিন্দুতে ঢেকে থাকে। আবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে সূর্যের তাপ। বিকেল হলে কমতে থাকে তাপমাত্রা। এবার একটু আগাম শীতের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে জানান চিলাহাটি বাজারের বাসিন্দা মোহাব্বাত হোসেন বাবু । তিনি বলেন, শরতে সাধারণত শীত ও শিশির বিন্দু পড়তে কম দেখা যায়। প্রকৃতিতে সাধারণত এটা হবার কথা নয়। কেতকীবাড়ী ইউনিনের আবুল কালাম নামে এক কৃষক বলেন, এ সময় শিশির বিন্দু ফসলের জন্য কিছুটা উপকার বয়ে আনবে। ভোর বেলা শিশির ভেজা পথে হাঁটতে খুব ভালো লাগছে। কয়েক দিনের বৃষ্টির পরে দিনে প্রচন্ড গরম আবার ভোররাতে শীত। শরতকালে এমনটা হওয়ার কথা না থাকলেও এমনটাই হচ্ছে। এদিকে গভীর রাত থেকে সকাল ৬-৭টা পর্যন্ত অনেক স্থানে শিশির পড়তে দেখা গেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন