শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঈদ মৌসুমেও খালি অধিকাংশ শুটিং হাউজ

লকডাউন শেষ হলে শুটিং শুরুর অনুমতি থাকলেও ঈদ মৌসুমে খালি পড়ে আছে অধিকাংশ শুটিং হাউজ। প্রোডাকশন হাউজগুলোর কাজ চলছে নামমাত্র। দীর্ঘদিন কর্মহীন থাকায় অর্থনৈতিক বিপর্যয় এড়াতে শিল্পী, নির্মাতা ও কলাকুশলীরা ঝুঁকছেন অন্য পেশার দিকে। সংশ্লিষ্টদের মতে, শিল্পীকে এড়িয়ে গিয়ে শিল্প বাঁচানোর চেষ্টা অনর্থক।

বলা হয়, জীবন নাটকের চেয়ে নাটকীয়। করোনার কারণে দুই মাস কর্মহীন অবস্থায় মিডিয়াপাড়ার সব শিল্পী কলাকুশলী। রোজকার জীবনের দুঃখ, কথা ব্যথামুহূর্ত যে রঙিন পর্দা বিমূর্ত করে তোলে কেমন আছেন সেই টেলিভিশন মাধ্যমের জাদুকরেরা!

ঈদের মৌসুম তবু নেই নাটক, টেলিফিল্ম, সিরিজ অথবা টিভিসির ধুম। শূন্য পরে আছে শুটিং ফ্লোর। ঝুলানো তালায় নিশ্চুপ হয়ে আছে শুটিং হাউজগুলো। হাতেগোণা দু একটাতে চলছে সেট নির্মাণের কাজ।

প্রোডাকশন হাউজে লাইট ক্যামেরা অ্যাকশনের ব্যস্ততা তো নেই উল্টো স্টোরে পড়ে থাকা লাখ টাকার ক্যামেরা এনে দিয়েছে বাড়তি বিড়ম্বনা। বেতন না পেয়ে মানবেতর দিনযাপন শিল্পীদের। বাধ্য হয়ে কেউ কেউ ঝুঁকছেন অন্য পেশায়। শিল্পী কলাকুশলীদের পাশে না দাঁড়ালে বাঁচানো যাবে না এ শিল্প বলছেন টেলিভিশন নাটক সংশ্লিষ্ট সংগঠন। টেলিভিশন মাধ্যমকে বাঁচাতে শিল্পী কলাকুশলী বিজ্ঞাপনদাতা প্রযোজক ও দর্শকের সমন্বয় জরুরি বলছেন টেলিভিশন সংশ্লিষ্টরা।

আনন্দবাজার/তা.তা

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন এটিএম শামসুজ্জামান

সংবাদটি শেয়ার করুন