শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইউনিসেফের নতুন শুভেচ্ছা দূত মীম

বাংলাদেশে ইউনিসেফের জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী বিদ্যা সিনহা সাহা মীম।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে ইউনিসেফ রিপ্রেজেনটেটিভ মি. শেলডন ইয়েট এ নিয়োগ প্রদান করেন। এর আগে আরিফ পারভিন জামান মৌসুমি, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম ও জুয়েল এইচ ইউনিসেফে জাতীয় দূত হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।

প্রেস কনফারেন্সের শুরুতে বাংলাদেশে ইউনিসেফ রিপ্রেজেনটেটিভ মি. শেলডন ইয়েট মীমকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, অভিনন্দন মিম। ইউনিসেফ পরিবার আপনাকে স্বাগত জানাতে খুব গর্বিত এবং উত্তেজিত।

এরপর তিনি বলেন, আপনারা জানেন যে মিম ইতিমধ্যেই ২০২০ সাল থেকে ইউনিসেফের একজন ভালো বন্ধু। তিনি লোকেদের করোনাকালীন মাস্ক পরতে এবং কোভিড- ১৯ এর বিরুদ্ধে টিকা নেওয়ার প্রচারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

এসময় তিনি ইউনিসেফের কার্যকলাপ উল্লেখ করে বলেন, শিশুদের অধিকারের প্রচার এবং পরিবর্তনকে অনুপ্রাণিত করতে খেলাধুলা, চলচ্চিত্র এবং বিনোদন জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কাজ করার একটি দীর্ঘ এবং গর্বিত ইতিহাস রয়েছে ইউনিসেফের। ১৯০টির ও বেশি দেশ ও অঞ্চলে সর্বত্র সব শিশুর জন্য আরও ভালো একটি পৃথিবী গড়ে তুলতে আমরা কাজ করি।

ভবিষ্যতে মীমের কাজের কথা উল্লেখ করে শেলডন বলেন, ইউনিসেফের জাতীয় রাষ্ট্রদূত হিসেবে মিম বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও মঙ্গলকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে এমন চ্যালেঞ্জ গুলির উপর নজরদারি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

তিনি বলেন, শিক্ষা হল ভবিষ্যৎ উন্মোচনের চাবিকাঠি, তবুও এই দেশের লক্ষ লক্ষ শিশু তাদের শিক্ষা সম্পূর্ণ করার জন্য সংগ্রাম করছে। শিক্ষা ছাড়া তাদের ডাক্তার, শিক্ষক, অভিনেতা, শিল্পী, মহাকাশচারী, বিজ্ঞানী হওয়ার আশা ও স্বপ্ন পূরণ হতে পারে না। দূত হিসেবে এই প্রতিবন্ধকতাগুলোকে অবশ্যই গুরুত্বের সাথে দেখবেন এবং কাজ করবেন। দূত হিসেবে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আনন্দিত ও গর্বিত মীম।

আরও পড়ুনঃ  সেভ দ্য চিলড্রেনের শুভেচ্ছা দূত হলেন বিপাশা

তিনি আরও বলেন, আমাকে এ সুযোগ প্রদান করায় আমি ইউনিসেফকে ধন্যবাদ জানাই৷ জাতীয় শুভেচ্ছা দূত হিসেবে আমি শিশু ও নারীর অধিকার রক্ষায় আমার সক্রিয়তাকে কাজে লাগাবো। বাংলাদেশ ও সারা বিশ্বে শিশু ও নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় অবিরাম কাজ করছে ইউনিসেফ। এমন একটি সংস্থার সাথে যুক্ত হতে পারাটা অবশ্যই আমার জন্য একটি বিশেষ সম্মামনা। পরে মীম ও শেলডন চুক্তি বইতে স্বাক্ষর করেন।

কনফারেন্স শেষে সাংবাদিকেদর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বিদ্যা সিনহা সাহা মীম বলেন, আমি আমার দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার মধ্য দিয়ে নারী ও শিশুদের নিয়ে যতটুকু করা যায় আমি করবো। শিশুদের অনেক কিছুই আমাকে ভাবায়। তাদের পড়াশোনা, বিভিন্ন ধরনের টিক, স্বাস্থ্য সুরক্ষা সহ আরও নানা ধরনের সমস্যা রয়েছে যেগুলা তারা নিয়মিত ফেস করছে। বিশেষ করে নারী শিশুরা এখনও বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছে, নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করবো।

আনন্দবাজার/টি এস পি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন