শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ইবিতে আগ্রহ হারিয়েছেন ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী!

ইবিতে আগ্রহ হারিয়েছেন ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী!

গুচ্ছ পদ্ধতিতে স্নাতক (সম্মান) ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি কার্যক্রমের মেধা তালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের মধ্যে সাক্ষাৎকারে ৭৯.৪৩ ভাগ শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। সাক্ষাৎকারে উপস্থিত ছিলেন ১৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ শিক্ষার্থী। ৩৪ বিভাগের মধ্যে মোট ২ হাজার ৯৫ সিটের বিপরীতে তিনটি ইউনিটে ৪১০ জন শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকারে উপস্থিত হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ইউনিট সমন্বয়কারীরা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত মঙ্গল ও বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী মেধাতালিকা থেকে এ, বি ও সি ইউনিটে পৃথক পৃথকভাবে সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। চলতি বছর গুচ্ছ ভর্তি পদ্ধতিতে বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘এ’ ইউনিটে মেধাতালিকা হতে স্থান প্রাপ্ত ৯৭৫ জনের মধ্যে ৬১জন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটে ৬৪৭ জনের মধ্যে ২৫২জন ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদভুক্ত ‘সি’ ইউনিটে ৪৪৩ জন মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের মধ্যে ৯৭ জন সাক্ষাৎকারে অংশ নিয়েছেন।

মেধাতালিকা প্রাপ্তদের মধ্যে এতো কম সংখ্যক শিক্ষার্থী সাক্ষাৎকারে অংশ নেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ‘এ’ ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. আব্দুস সামাদ বলেন, মেধাতালিকায় যারা এখানে প্রথম দিকে রয়েছে তারা মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং বা অনান্য বিশ্ববিদ্যালয়েও সচারাচর মেধাতালিকায় থাকেন। যার কারণে হয়তো তারা অনান্য প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে থাকতে পারে। এজন্য মেধাতালিকা থেকে সাক্ষাৎকারে কম সংখ্যক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

‘বি’ ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা জানান, ‘শিক্ষার্থীদের মেরিট লিস্ট অনুযায়ী ভর্তির হার গতবারের থেকে কম। করোনার কারণে দেরিতে পরীক্ষা হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে গেছে। এছাড়া জিএসটির আওতায় অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে সাবজেক্ট আশায় ভর্তির হার কম।

আরও পড়ুনঃ  এসএসসি পরীক্ষা ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে

‘সি’ ইউনিট সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মোঃ রুহুল আমীন জানান, ‘মেধাতালিকা থেকে যারা সাক্ষাৎকার দিয়েছে সে সংখ্যাটা কম হলেও আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের ভর্তি কার্যক্রম চলবে এবং ৯ জানুয়ারি এই মেধাতালিকায় স্থানপ্রাপ্তদের আরো একটি সাক্ষাৎকারের নোটিশ করা হয়েছে।

এরপরেও ভর্তি হতে ইচ্ছুক এমন কেউ যদি ভর্তি হতে চায় তাদের জন্য ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত সুযোগ থাকবে। এরপর আর কোনো সুযোগ দেওয়া হবে না। আশা করি, এর মধ্যে অনেকে ভর্তি হয়ে যাবে তারপর সিট খালি থাকা সাপেক্ষে অপেক্ষমান তালিকা প্রকাশ করা হবে।’

আনন্দবাজার/এম.আর

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন