শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেলিভিশন না থাকায় ১২ হাজার শিক্ষার্থী ক্লাস করতে পারছে না

ক্লাস করার সুযোগ পাচ্ছেনা বাগেরহাটের চিতলমারীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ১২০০০ শিক্ষার্থী। তারা প্রযুক্তি নির্ভর অনলাইন ক্লাস থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বাড়িতে বিদ্যুৎ ও টেলিভিশন না-থাকায়। কোমলমতি শিশুরা দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস করতে না পেরে পড়াশোনা বিমুখ হয়ে উঠছে। 

প্রাণঘাতী করোনা সংক্রমণ রোধ করতে ১৭ মার্চ সরকার ঘোষণা দেয়, দেশের সব স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখার। সেই নির্দেশনা ১৮ মার্চ থেকে কার্যকর হয়। তারপর দেশে করোনা রোগী বাড়তে থাকায় এ বন্ধের মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়েছে।

পরবর্তীতে ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টেলিভিশনে ‘আমার ঘরে আমার স্কুল’ স্নোগান নিয়ে অনলাইন ক্লাস চালু হয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের ধারাবাহিকতা ধরে রাখার জন্যই মূলত এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

উপজেলার খড়মখালী গ্রামের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক দিনমজুর তপন বসু জানান, সরকারের অনলাইন ও টিভিতে ক্লাসের উদ্যোগ ভাল হইছে। কিন্তু আমার বাড়ি টিভিই নাই এবং স্মার্ট ফোনও নেই। তাই আমার মেয়ে তো ক্লাস করার সুযোগ পায় না। দেশে আমার মতো বহু গরিব মানুষ আছে যাদের ঘরে টিভি নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার গরীবপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক মেধাবী ছাত্র বলেছেন, ‘আমার বাড়িতে কারেন্ট নাই, টিভিও নাই। স্কুল বন্ধের পর আমি বন্ধুদের সঙ্গে ঘুড়ি ওড়াই আর নদীতে স্নান করি। আমিও ক্লাস করতে পারতাম আমাদের বাড়ি একটা টিভি থাকলে।’

আনন্দবাজার/এস.কে

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  আবারো বাড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি

সংবাদটি শেয়ার করুন