শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ট্রেজারার কাজী আখতারের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

নানা অনিয়ম আর দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার কাজী আখতার হোসেনের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর মুগদা মান্ডায় অবস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারারের রুম ঘেরাও করে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করে।

পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা ট্রেজারের রুম তালা বদ্ধ করে রাখে। যদিও ওই সময় তিনি অফিসে ছিলেন না। আখতার হোসেনকে স্বৈরাচারের দোসর ও দুর্নীতিবাজ আখ্যা দিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা জানান, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রভাব খাটিয়ে প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন তিনি। মনগড়া মতো সকল সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতেন। তার এসব কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার দোসর হিসাবে ট্রেজারারের পদত্যাগ দাবি করে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় শিক্ষার্থীরা। তিনি যেন আর কখনো ক্যাম্পাসে আসতে না পারে সেজন্য জোর দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কারীরা বলেন, কোটা আন্দোলনবিরোধী বিভিন্ন কার্যকলাপের পরিপ্রেক্ষিতে ও বিগত সময়ে ঘটে আসা বিভিন্ন অনাচারের কারণে বর্তমানে ট্রেজারার আক্তার হোসেন শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ এবং সাধারণ শিক্ষার্থীরা সেখানে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এসব বিষয়কে সামনে রেখে এবং বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিবেশ ও নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত তাকে পদত্যাগের দাবি জানান।

এছাড়া তিনি গণভবনে লোকবল নিয়ে নৌকার পক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন বলেও শিক্ষার্থীরা জানান। এর আগেও তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডঃ মোঃ আমিনুল হক ভূঁইয়া বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি দেন। চিঠিতে কাজী আখতার হোসেনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ ও দাপ্তরিক অনিয়ম সম্পর্কে অবহিত করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়।

আরও পড়ুনঃ  শেরপুর কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবি

সূত্রে জানা যায় ট্রেজারার কাজী আক্তার হোসেন প্রভাব খাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ড থেকে তার ব্যক্তিগত ড্রাইভার এর জন্য মাসিক বেতন গ্রহণ করতেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২২ মাসের বেতন বকেয়া থাকলেও তিনি দফায় দফায় নিজের বেতন বৃদ্ধি করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন