শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪ শিক্ষার্থীর জন্য ৫ শিক্ষক

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নে মধ্য কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আছে মাত্র চার থেকে পাঁচজন। আর এই শিক্ষার্থীকে পাঠদানের জন্য ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়োজিত রয়েছেন পাঁচজন শিক্ষক।

স্থানীয় কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান তার খেয়াল খুশি মতো বিদ্যালয়ে আসেন। এখানে কোনো লেখাপড়া হয় না। শিক্ষকেরা একজন অন্যজনের চুল দেখাদেখি নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। কোনো সময় ছাত্র-ছাত্রী নেওয়ার জন্য শিক্ষকেরা বাড়ি বাড়ি যান না।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, শ্রেণীকক্ষে কোন শিক্ষার্থী নাই তবে স্কুল বারান্দায় কয়েক জন শিশু এলোমেলো ভাবে ঘোরাফেরা করছে। এই স্কুলের শিক্ষার্থী কিনা এমন প্রশ্ন করলে তারা কোন উত্তর দেয়নি। তাছাড়া ঘড়ির কাটায় বেলা ১১ টা বাজলেও প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে বিদ্যালয়ে উপস্থিত দেখা যায়নি।

সহকারী শিক্ষিকা সুমা আক্তার এর কাছে প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত, স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যায় এবং কোন প্রকার তথ্য দিতে পারবে না বলে তিনি জানিয়ে দেন।

জানা গেছে, মধ্য কাছিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯২৭ ইং সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ২০০৩ সালে একতলা একটি ভবন পূর্ণনির্মাণ বাস্তবায়ন করেন এলজিইডি।প্রতিষ্ঠানটিতে আগের তুলনায় প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা বর্তমানে নেই বললেই চলে।স্কুলটিতে রয়েছে পাঁচজন শিক্ষক কিন্তু ছাত্র-ছাত্রী দেখা মিলেছে তার চেয়েও কম।

এলাকাবাসী বলছে, আমরা শুনেছি স্কুলটিতে ছাত্র-ছাত্রী ৮-১০ জনের মত আছে তবে আমাদের ধারনা কাগজে-কলমে চার থেকে পাঁচ জনের বেশি হওয়ার কথা না। তবে শিক্ষা ব্যবস্থা একেবারেই নাজেহাল অবস্থা। শিক্ষকরা বসে বসে সরকারী বেতন-ভাতা নিচ্ছে। সরকারের দ্বায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষে উচিত স্কুলটি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা।

আরও পড়ুনঃ  প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত ফল নভেম্বরের শুরুতে

এ বিষয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আতিকুল ইসলাম এর ব্যবহিত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই। পরে সহকারী শিক্ষা অফিসার রিয়াজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি আনন্দবাজার প্রতিবেদককে বলেন, মধ্য কাছিপাড়া সরকারি প্রাঃ বিঃ এর ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা একেবারেই কম এবং শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও রয়েছে ত্রুটি। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে বিষয়টি দেখবো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বশির গাজী বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন