শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পার্ক না কী বাজার, বাহাদুর শাহ্ এ কী হাল!!

পার্ক না কী বাজার, বাহাদুর শাহ্ এ কী হাল!!

ঐতিহাসিক বাহাদুর শাহ পার্ক বর্তমানে একটি অঘোষিত বাজারে পরিনত হয়েছে। পার্কের বিভিন্ন স্থানে বসেছে ১০ টির মতো অস্থায়ী চা, খেচুড়ি এবং সরবত এর দোকান এবং একটি স্থায়ী রেস্টুরেন্ট।

পার্কের বিভিন্ন জায়গায় এসব দোকান এর জন্য পার্কে সাধারণ মানুষের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। সকাল ও বিকালে অনেকে শরীরচর্চা করতে আসলে ও পার্কের ভিতরে এসব দোকান এর জন্য তারা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। পরিবার নিয়ে অনেকে বিকালে ঘুরতে আসলেও তারা পড়েন বিপাকে। পার্কের মাঝখানে খোলা জায়গা থাকলেও তা খুবই ছোট এবং খেলাধুলার ও তেমন সুযোগ নেই।পার্কের আশেপাশে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মাঝেমধ্যে এই পার্কে বসে আড্ডা দিতে দেখা যায় কিন্তু পার্কে এসব অস্থায়ী দোকান এবং স্থায়ী একটি রেস্টুরেন্ট এর জন্য ব্যাহত হচ্ছে পার্কের সাধারণ কার্যাবলি৷

পার্কের ভিতরে অবস্থিত চা এবং সিগারেট এর দোকানীরা আবার ব্যবাস্থা করেছে ছোট ছোট বসার টুল এর যা পার্কের জায়গা অনেক অংশেই দখল করে নিচ্ছে। পার্কের ভিতরে অবস্থিত সিগারেট এর দোকান এর জন্য অনেকে পার্কের ভিতরেই ধুমপান করেন যার কারনে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয় শিশু, কিশোর থেকে সাধারণ মানুষের৷

পার্কে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে আসা মো: শামীম শেখ বলেন, পার্কে অবস্থিত এসব দোকান থেকে খাবার সংগ্রহ করে মানুষ তার উচ্ছিষ্ট পার্কে চলাচল করার স্থানে ফেলে যায়, পার্কের বিভিন্ন জায়গায় পানির ফাঁকা বোতলসহ আরো বিভিন্ন ময়লা পড়ে থাকতে দেখা যায় যা পার্কের স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করছে।

আরও পড়ুনঃ  রাইজআপ ল্যাবসে এক মাসের ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যাটাচমেন্ট কোর্স সম্পন্ন করলো বাউয়েট শিক্ষার্থীরা

বাহাদুর শাহ পার্ক ও ঐতিহ্য রক্ষা সংগ্রাম কমিটির সদস্যসচিব মো. আখতারুজ্জামান খান বলেন,আমরা এসব দোকান সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে মানময়ী মেয়র সাহেবের সাথে কথা বলেছি এবং অভিযোগ দিয়েছি তিনি আমাদের বলেছিলেন এসব সরিয়ে নেওয়ার কথা কিন্তু এখনো তা বাস্তবায়ন হয় নাই।

বাংলাপিডিয়া ও ঢাকা জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, এই পার্ক আগে ভিক্টোরিয়া পার্ক নামে পরিচিত ছিল। ব্রিটিশ শাসনামলে ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহের সময় ভিক্টোরিয়া পার্ক বিশেষ পরিচিতি অর্জন করে। এখানে কয়েকজন বিদ্রোহীকে ফাঁসি দেওয়া হয়। ১৮৫৮ সালে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার বিপুলসংখ্যক মানুষের এক সমাবেশে রানি ভিক্টোরিয়ার বিখ্যাত ঘোষণা পাঠ করেন। সিপাহি বিদ্রোহ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ইংরেজ শাসনের সমাপ্তি ঘটিয়ে মোগল সম্রাট দ্বিতীয় বাহাদুর শাহর শাসন পুনরায় আনার জন্য। তাই তাঁর নামানুসারে এর নতুন নামকরণ করা হয় ‘বাহাদুর শাহ পার্ক’।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন