শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ফল প্রকাশ

প্রাথমিকে বৃত্তি পেল ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী

প্রাথমিকে বৃত্তি পেল ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী

প্রাথমিকে বৃত্তির ফল প্রকাশ হয়েছে। প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় মোট ৮২ হাজার ৩৮৩ জনকে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এই বৃত্তি পাবে।

মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন ২০২২ সালের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন। এদের মধ্যে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি পাচ্ছে ৩৩ হাজার শিক্ষার্থী, যা আগে ছিল ২২ হাজার। সাধারণ কোটায় বৃত্তি পাচ্ছে ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন, যা আগে ছিল ৩৩ হাজার। মোট বৃত্তি পেয়েছে ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী।

বৃত্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd ও মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং স্থানীয়ভাবে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের কার্যালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় এবং উপজেলা বা থানা শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় থেকে পাওয়া যাবে। বিগত বছরগুলোতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতেই বৃত্তি দেওয়া হতো। ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা না হওয়ায় প্রাথমিক বৃত্তিও দেওয়া হয়নি।

এছাড়া মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে। DPEThana/Upazila Code No.Roll Number-Year and Send to 16222

গত বছরের ২৮ নভেম্বর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ২০২২ সাল থেকে আলাদা করে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর গত ৩০ ডিসেম্বর সারাদেশে একযোগে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পঞ্চম শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে মেধাক্রম অনুসারে ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী নিয়ে বৃত্তি পরীক্ষা হয়। বাংলা, প্রাথমিক গণিত, ইংরেজি ও প্রাথমিক বিজ্ঞান এ চারটি বিষয়ে হয় পরীক্ষা। এবারের বৃত্তি পরীক্ষায় ৪ লাখ ৮৩ হাজার ৭৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। মোট নম্বর ছিল ১০০ এবং সময় ছিল ২ ঘণ্টা।

আরও পড়ুনঃ  ‘বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত পরে হবে’

বৃত্তির সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃত্তির অর্থের পরিমাণও ২০১৫ সাল হতে বৃদ্ধি করা হয়েছে। আগে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রাপ্তদের মাসে ২০০ টাকা করে দেওয়া হলেও ২০১৫ সাল থেকে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ গ্রেডে এ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ১৫০ টাকার পরিবর্তে ২২৫ টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। তাছাড়া উভয় ধরণের বৃত্তিপ্রাপ্তদের প্রতি বছর ২২৫ টাকা করে এককালীন দেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা/থানার প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা/থানা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বন্টন করা হয়েছে। সাধারণ বৃত্তি ইউনিয়ন ও পৌরসভা ওয়ার্ডভিত্তিক বিতরণ করা হয়েছে। এ বছর সাধারণ গ্রেডে বৃত্তির ক্ষেত্রে ৮ হাজার ১৪৫টি ইউনয়িন/পৌরসভা ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৬টি (৩ ছাত্র ও ৩ ছাত্রী) হিসেবে ৪৮৮৭০টি এবং অবশিষ্ট ৬৩০টি বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলা/থানায় ১টি করে ৫১৩টি উপজেলা/থানায় ৫১৩টি সাধারণ বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আনন্দবাজার/কআ

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন