তুরস্কে অধ্যয়নরত স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইসডি কোর্সে উত্তীর্ণ বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। আংকারার পক্ষ থেকে দূতাবাসের সম্মেলন কক্ষ “বিজয় একাত্তর মিলনায়তন” সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ দূতাবাস।
তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মস্য়ূদ মান্নান, এনডিসি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। তুরস্কের বিভিন্ন শহরে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীগণ উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত, দোয়াও বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইসডি কোর্সে উত্তীর্ণদের মধ্যে ৩৯ জন মেধাবীকৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সম্মাননা প্রদানঅনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং বিশিষ্ট প্রবাসী বাংলাদেশীগন বক্তব্য প্রদান করেন। তাঁরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বিদেশস্থ দূতাবাস কর্তৃকএভাবে সংবর্ধিত হতে পেরে নিজেদেরকে সম্মানিত বোধ করছেন। এছাড়া, এ ধরনের সম্মাননা প্রাপ্তি মেধা বিকাশেরক্ষেত্রে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের উৎদীপ্ত করবে মর্মে শিক্ষার্থীরা মতপ্রকাশ করেন।
সমাপনী বক্তব্যের শুরুতেই রাষ্ট্রদূত জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গী শহীদদের স্মরণ করে দেশের চলমান উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়ে অবদান রাখার জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি এ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের ভাগ্যবান উল্লেখ করে বলেন, নতুন এবং অগ্রসরমান বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে তাদের বিরাট ভূমিকা পালনের অবকাশ রয়েছে যা জাতির প্রত্যাশা পূরণে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে র্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ৭ জন বিজয়ীর মধ্যে ল্যাপটপ, মোবাইল এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী পুরস্কার হিসাবে প্রদান করা হয়।
আনন্দবাজার/কআ
