শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য হচ্ছে কল্যাণ ট্রাস্ট

সরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য হচ্ছে কল্যাণ ট্রাস্ট

চাকরিরত অবস্থায় শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের লেখাপড়ার খরচ নির্বাহের সুযোগ রেখে ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন-২০২২’-এর খসড়ায় চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

আজ জাতীয় সংসদ ভবনে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জন্য কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তবে এটি এটি সরাসরি সরকারি না হয়ে একটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে। অনেকটা অটোনোমাস টাইপের। এটা আইন দিয়ে হবে। ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় থাকবে ঢাকায়। সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে শাখা বা কার্যালয় স্থাপন করা যাবে। আর পরিচালনায় একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মূল বিষয় হলো চাকরিরত অবস্থায় একজন শিক্ষকের মৃত্যু হলে তার অপ্রাপ্তবয়স্ক কোনো সন্তান থাকলে, প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন বা তৃতীয় লিঙ্গের কোনো শিশু থাকলে তাদের লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে দেয়া হবে।’

মৃত শিক্ষকের সন্তানদের চাকরির নিশ্চয়তা দেয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চাকরির নিশ্চয়তা কীভাবে দেবেন? এ ক্ষেত্রে একটি ক্যাটাগরি হয়তো ব্লক করে রাখতে পারেন, যেমন আমাদের রেলে বিধান আছে এতো পারসেন্ট। কিন্তু কে চাকরি পাবে না পাবে সেটা নির্ভর করবে পরীক্ষার উপর। চাকরির বিষয়টি এখানে নেই।

‘এটা এককালীন দেয়া হবে। এতে ২১ সদস্যের একটি ট্রাস্টিবোর্ড থাকবে সেখানে একজন চেয়ারম্যান থাকবেন। প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের মহাপরিচালক সেখানে চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করবেন। সদস্য সচিব মহাপরিচালক কর্তৃক নিয়োগকৃত একজন শিক্ষক হবেন। তারা তাদের মনোনয়নের তারিখ থেকে ৩ বছরের জন্য ওই বোর্ডে থাকতে পারবেন।’

আরও পড়ুনঃ  বারি’তে চলমান গবেষণা কর্মসূচি ও কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এদের একটি তহবিল থাকবে। ট্রাস্টের নামে বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত কোনো তফসিলি ব্যাংকে এটা রাখা হবে। এখান থেকে ব্যয় নির্বাহ করা হবে। ট্রাস্ট তার আয় ব্যয়ের হিসাব সংরক্ষণ করবে এবং বার্ষিক বিবরণী প্রস্তুত করবে। বার্ষিক প্রতিবেদন পরের বছরের ৩০ জুনের মধ্যে সরকারের কাছে জমা দেবে, অর্থাৎ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে।

‘তাদের কাজ হবে শিক্ষক ও পোষ্যদের জন্য আর্থিক সাহায্য দেবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী-সন্তানের শিক্ষা সহায়তার জন্য এককালীন আর্থিক সাহায্য বা বৃত্তি দেবে। শিক্ষকের স্বামী বা স্ত্রী-সন্তানের জন্য বৃত্তিমূলক বা অন্য পেশাগত আর্থিক সহায়তা দেবে। আর চাকরিরত অবস্থায় কোনো শিক্ষকের মৃত্যু হলে সেই শিক্ষকের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের জন্য লেখাপড়ার খরচ ট্রাস্টের তহবিল থেকে নির্বাহ করা হবে।’

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন