রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বস্তিতে প্রান্তিক খামারি, অস্বস্তিতে ক্রেতা

স্বস্তিতে প্রান্তিক খামারি, অস্বস্তিতে ক্রেতা

মুরগীর দর বৃদ্ধি

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি পর্যায়ে বেড়েছে ব্রয়লার, কক ও লেয়ার মুরগিসহ অন্যান্য ফার্মের মুরগির দাম। গত সপ্তাহে প্রতিকেজি মুরগী যে দামে কেনা যেতো বর্তমানে সেই মুরগী কেজি প্রতি বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এতে স্বস্তি প্রকাশ করছে দেশের প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারিরা। অপরদিকে, খুচরা বাজারে মুরগীর দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।

সোনারগাঁ উপজেলার সবচেয়ে বড় বাজার কাঁচপুর, মোগরাপাড়া, মদনপুর, পিরোজপুর, উদ্ধবগঞ্জ, আমিনপুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগীর দাম ছিল ১৫০ টাকা। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭৫ টাকা। প্রতিকেজি কক (সোনালী) মুগরীর দাম ছিল গত সপ্তাহে ২৪০ টাকা। বর্তমানে কক (সোনালী) মুরগীর দাম বেড়ে হয়েছে ২৬৫ টাকা। এছাড়া বড় লেয়ার মুরগীর দাম তেমন একটা না বাড়লেও গত সপ্তাহে ছিল ২২০ টাকা বর্তমানে লেয়ার মুরগীর প্রতিকেজির দাম ২৩০টাকা।

এদিকে মুরগির দাম তুলনামূলক ভাবে খুব বেশি না বাড়লেও দাম যাতে না কমে সেই প্রত্যাশার কথাই জানিয়েছেন একাধিক খামারি। তারা বলছেন, করোনাকালীন অনেক টাকা লোকসান হয়েছে। বর্তমানে খাদ্য, বাচ্চাসহ অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ বেড়েছে সে কারণে মুরগীর উৎপাদনের খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বর্তমান মুরগীর বাজারদরে লোকসান না হলেও খুব একটা মুনাফাও করতে পারছেন না। তবুও দাম না কমায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন তারা।

মুরগীর খামারি সজিব মিয়া জানান, মুরগির মাংস মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে অবিলম্বে খাদ্য, বাচ্চাসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম কমানো উচিৎ। এতে করে মুরগির উৎপাদন খরচ কমে যাবে। এতে আমরা যারা প্রান্তিক খামারি আছি তাদের মুনাফাও থাকবে। পাশাপাশি ভোক্তারাও ন্যায্য দামে কিনে মুরগী কিনে খেতে পারবে।

আরও পড়ুনঃ  কাটেনি বিপদ আতঙ্ক

সংবাদটি শেয়ার করুন