শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চিংড়িতে সাড়ে ৪শ কোটি টাকার ক্ষতি

করোনা মহামারীর কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে বাজার হারিয়েছে খুলনা অঞ্চলের সাদা সোনা খ্যাত হিমায়ীত চিংড়ি। তবে ধরতে পেরেছে জাপানের বাজার। করোনার কারণে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে শুধু রফতানিই নয়, দামও কমে যায় এই সাদা সোনার।

চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে বড় ধাক্কা এলেও এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে খুলনার হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। তারপরেও সাড়ে চারশ কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়তে হবে রফতানিকারকদের।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, করোনার কারণে চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে খুলনাঞ্চলের চিংড়ি রফতানিতে বড় ধরনের ধাক্কা আসে। চাষি, ফড়িয়া, আড়ৎদার ও রফতানিকারক কম-বেশি সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হন।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, এক প্রকার পানির দরেই বিক্রি হতে শুরু করে এই অঞ্চলে উৎপাদিত চিংড়ি। ব্যবসায়ীরা সাতশ টাকার চিংড়ি মাছ বাধ্য হয়ে তিনশ টাকা দরে বিক্রি করেন। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হয় চাষিসহ সংশ্লিষ্টদের। এরইমধ্যেই আবার গত ২০ মে আম্পানের আঘাতে শ্যামনগর, আশাশুনি ও কয়রার ভেসে যায় কয়েক হাজার চিংড়ির ঘের।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্র জানিয়েছে, মে মাসে ১ কোটি ৪ লাখ ডলার, জুন মাসে ১ কোটি ৭২ লাখ ডলার, জুলাই মাসে ৯৩ লাখ ৩ হাজার ডলার, ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৭ ইউরো, আগস্ট মাসে ৭০ লাখ ৭৫ হাজার ডলার, ৫ লাখ ২৫ হাজার ইউরো, সেপ্টেম্বর মাসে ২৩ লাখ ১৭ হাজার ডলার, ৪ লাখ ৩ হাজার ইউরো, অক্টোবর মাসে ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ডলার, ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৯ ইউরো, নভেম্বর মাসে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার ও ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৪ ইউরো মূল্যের হিমায়িত চিংড়ি রফতানি হয়। যেসব দেশে চিংড়ি রফতানি হয় তার মধ্যে জাপানই শীর্ষে।

আরও পড়ুনঃ  কমেছে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং

সেন্ট মার্টিনস হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের কমিশন ম্যানেজার প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, ইউরোপে খুলনাঞ্চলের হিমায়িত চিংড়ি রফতানি কমেছে। তবে জাপানে রফতানির পরিমাণ বেড়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক তার এক প্রবন্ধে খুলনাঞ্চলের চিংড়ি চাষ সম্পর্কে উল্লেখ করেন, ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের বিলখুকশিয়া অঞ্চলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে হেক্টর প্রতি ৩৩৪ কেজির পরিবর্তে ২ হাজার কেজি বছরে উৎপাদন হচ্ছে। উন্নত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের জন্য বিপিসি ও বিএসএফএফ ডুমুরিয়ার বান্দায় কয়েকটি গুচ্ছ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

করোনা : খুলনায় চিংড়িতে সাড়ে ৪শ কোটি টাকার ক্ষতি

করোনা মহামারীর কারণে ইউরোপের দেশগুলোতে বাজার হারিয়েছে খুলনা অঞ্চলের সাদা সোনা খ্যাত হিমায়ীত চিংড়ি। তবে ধরতে পেরেছে জাপানের বাজার। করোনার কারণে ইউরোপিয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে শুধু রফতানিই নয়, দামও কমে যায় এই সাদা সোনার।

চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে বড় ধাক্কা এলেও এরপর কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে খুলনার হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। তারপরেও সাড়ে চারশ কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়তে হবে রফতানিকারকদের।

পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, এক প্রকার পানির দরেই বিক্রি হতে শুরু করে এই অঞ্চলে উৎপাদিত চিংড়ি। ব্যবসায়ীরা সাতশ টাকার চিংড়ি মাছ বাধ্য হয়ে তিনশ টাকা দরে বিক্রি করেন। এতে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হয় চাষিসহ সংশ্লিষ্টদের। এরইমধ্যেই আবার গত ২০ মে আম্পানের আঘাতে শ্যামনগর, আশাশুনি ও কয়রার ভেসে যায় কয়েক হাজার চিংড়ির ঘের।

আরও পড়ুনঃ  সূচকের উত্থানে চলছে পুঁজিবাজারের লেনদেন

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্র জানিয়েছে, মে মাসে ১ কোটি ৪ লাখ ডলার, জুন মাসে ১ কোটি ৭২ লাখ ডলার, জুলাই মাসে ৯৩ লাখ ৩ হাজার ডলার, ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৭ ইউরো, আগস্ট মাসে ৭০ লাখ ৭৫ হাজার ডলার, ৫ লাখ ২৫ হাজার ইউরো, সেপ্টেম্বর মাসে ২৩ লাখ ১৭ হাজার ডলার, ৪ লাখ ৩ হাজার ইউরো, অক্টোবর মাসে ৩০ লাখ ৪৮ হাজার ডলার, ২ লাখ ২৯ হাজার ৪৪৯ ইউরো, নভেম্বর মাসে ১৬ লাখ ৪৯ হাজার ডলার ও ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯৪ ইউরো মূল্যের হিমায়িত চিংড়ি রফতানি হয়। যেসব দেশে চিংড়ি রফতানি হয় তার মধ্যে জাপানই শীর্ষে।

সেন্ট মার্টিনস হিমায়িত চিংড়ি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানের কমিশন ম্যানেজার প্রবীর চক্রবর্তী বলেন, ইউরোপে খুলনাঞ্চলের হিমায়িত চিংড়ি রফতানি কমেছে। তবে জাপানে রফতানির পরিমাণ বেড়েছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ শ্রিম্প অ্যান্ড ফিস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহমুদুল হক তার এক প্রবন্ধে খুলনাঞ্চলের চিংড়ি চাষ সম্পর্কে উল্লেখ করেন, ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউনিয়নের বিলখুকশিয়া অঞ্চলে গুচ্ছ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে হেক্টর প্রতি ৩৩৪ কেজির পরিবর্তে ২ হাজার কেজি বছরে উৎপাদন হচ্ছে। উন্নত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের জন্য বিপিসি ও বিএসএফএফ ডুমুরিয়ার বান্দায় কয়েকটি গুচ্ছ পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে।

আনন্দবাজার/টি এস পি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন