বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মুন্সিগঞ্জে বৃদ্ধি পেয়েছে মাছের সরবরাহ, দাম হাতের নাগালে

মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় মৎস্য আড়ত। ভোরের আলো ফুটতেই শুরু হয়ে যায় ক্রেতা-বিক্রতার হাঁকডাকে মাছের বেচা-কেনা। ইলিশের উপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়া ইতোমধ্যেই আড়তটিতে যেন ফিরে এসেছে আগের প্রাণচাঞ্চল্য।  সেই সাথে সরবরাহ বেশি থাকায় মাছের মূল্যও কমেছে কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।

জানা গেছে, ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই নৌকা এবং ভ্যানে করে আসতে থাকে মাছ। ২২ দিন বন্ধের পর ইলিশের বিক্রি চলে ব্যাপক হাঁকডাকে। শুধু ইলিশ নয়, নানা জলাশয়ের ফরমালিনমুক্ত দেশীয় বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ওঠে। ব্যাপক সরবরাহ ও সুলভমূল্য হওয়ায় ক্রেতাদের ভিড় হয় অনেক।

এই আড়তে ছোট ইলিশ ৪৫০-৬০০ টাকা, বড় ইলিশ ৮০০ – ১ হাজার টাকা কেজি, চিংড়ি ৫৫০-৬০০ টাকা, কৈ ১২০-১৩০ টাকা, শিং ২৪০-৩০০ টাকা, সরপুঁটি ১০০-১২০ টাকা, রিটা ৬০০-৭০০টাকা, চিতল ৩৮০-৫০০ টাকা, নলা ১০০-১২০ টাকা, তাজা রুই ১৮০-২৮০ টাকা, পাবদা ২০০-৩০০ টাকা, পাঙ্গাশ ১০০- ৭০০ টাকা, আইর ৪০০-৯০০ টাকা ও তেলাপিয়া ১০০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ধলেশ্বরী নদীর তীরে দেড় একর জমির উপর বসে এই মাছের হাট। মিরকাদিম মৎস্য আড়তের সহ-সভাপতি রাজা মিয়া বলেন, কোটি কোটি টাকা কেনা-বেচা হলেও আড়তটির তেমন কোন উন্নয়ন নেই। তাই বৃষ্টিতে কাঁদা জমে যায় শতাব্দী প্রাচীন এই মাছের হাটটিতে।

ক্রেতা হাজী আব্দুর জাব্বার জানান, এই আড়তে সকল ধরনের মাছ উঠে এবং তুলনামূলক মূল্যও অনেক সস্তা। তাই এখানে মাছ কিনতে আগ্রহ।

আরও পড়ুনঃ  ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নেই !

আড়ৎদার রানা মাসুদ জানান, তাজা  এবং ফরমালিনমুক্ত মাছের কারণেই আশপাশের সকল হাট-বাজারের খুচরা ক্রেতারা এখানে মাছ কিনেন।

উল্লেখ্য, ৪০টি আড়ত ও শতাধিক বিক্রেতা মাছের পসরা নিয়ে বসেন এই মাছের আড়তে। ভোর ৬ টা থেকে সকাল সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টায় এখানে বিক্রি হয় প্রায় কোটি টাকার।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে

সংবাদটি শেয়ার করুন