শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জয়পুরহাটে পেঁয়াজের দাম বাড়ল কেজিতে ৩০ টাকা!

ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়ার অজুহাত দেখিয়ে একদিনের ব্যবধানে জয়পুরহাটের খুচরা বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি একলাফে বেড়ে গেছে প্রায় ৩০ টাকা। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার স্বাভাবিক রাখতে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো: শরীফুল ইসলাম।

সোমবার দুপুরে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ভারতীয় পেঁয়াজ ও ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া দেশি পেঁয়াজ আজ (মঙ্গলবার) থেকে তা বিক্রি হচ্ছে ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় ও দেশি পেঁয়াজ ৯০ থেকে ১০০টাকায়। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে খবর পাওয়া গেছে দুপুর থেকে পেঁয়াজ বিক্রিই বন্ধ করে দিয়েছিলেন নতুনহাটের বেশ কিছু ব্যাবসায়ী।

বাজার স্বাভাবিক রাখতে গত রবিবার থেকে জেলায় ৩০টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করেছে ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। জেলায় টিসিবি’র ১০টি ডিলার পেঁয়াজ বিক্রি ইতিমধ্যে শুরু করছেন বলে জানা গেছে। টিসিবি ডিলার মুক্তা ট্রেডাসের স্বত্বাধিকারী সাহা কুমার বলেন, প্রতিদিন গড়ে ৩০০ কেজি পেঁয়াজ আমরা বিতরণ করি। এরকম প্রায় ১০জন ডিলার রয়েছে তারাও বিতরণ করছে। একেকজন ব্যাক্তিকে ৩০টাকা দরে ১ কেজি করে পেঁয়াজ বিতরণ করা হচ্ছে।

এদিকে টিসিবি’র মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রি শুরু হওয়ায় ক্রেতারা কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম হক্কানী।

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে খুচরা বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। খুচরা বাজারে গতকাল সন্ধ্যা থেকে পেঁয়াজের কেজি কিছুটা বাড়লেও আজ (মঙ্গলবার) দেশি ও ভারতীয় পেঁয়াজ বেড়েছে কেজি প্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা।

আরও পড়ুনঃ  পাইকারি-খুচরায় বিশাল ফারাক

খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ হওয়াসহ ভারতে পেয়াজের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রিতে দাম বাড়িয়েছে। এর ফলে আমাদেরকেও পেঁয়াজের দাম বাড়াতে হয়েছে।

এই ব্যাপারে পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা বলছেন, জেলায় পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষনার পরে আজ (মঙ্গলবার) সকাল থেকে বেশকিছু ব্যাবসায়ী পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রেখেছে, যার ফলে পেঁয়াজের দামটা কেজিতে কিছুটা বেড়েছে।

জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম জানান, বাজার স্বাভাবিক রাখতে ইতিমধ্যে জেলার পেঁয়াজ ব্যাবসায়ীদের নির্দেশনা দেওয়ার পাশাপাশি বাজার মনিটরিং শুরু করা হয়েছে। বাজার অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হলে কঠোর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

গত বছরের মতো এবারও সেপ্টেম্বর মাসে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। সোমবার দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদফতর পেঁয়াজ রফতানি নিষিদ্ধের ঘোষণা দিয়ে চিঠি ইস্যু করে। তবে ভারতের এই ঘোষণায় কিছুটা সমস্যা হলেও গতবারের মতো খারাপ পরিস্থিতি হবে না বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বেশ আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় তুরস্ক থেকে চলতি মাস শেষেই আসছে পেঁয়াজ।

আনন্দবাজার/এইচ এস কে/এর এ

সংবাদটি শেয়ার করুন