গত বাজেটে কমেছে শুল্ক এবার ভ্যাট প্রত্যাহার
বৈধ পথে সোনার আমদানি বাড়াতে সরকার প্রতি বাজেটেই ছাড় দিয়ে যাচ্ছে। তার পরেও বৈধ পথে সোনা আমদানি বাড়ছে না।এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম কমলেও দেশে কমছে না দামও ।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাণিজ্যিক আমদানিতে সুবিধা দিলেও দামের ক্ষেত্রে তেমন প্রভাব পড়ছে না। এ ছাড়া করোনার কারণে সোনার দাম এখনো অনেক বেশি। তাই দেশের বাজারে সমন্বয় হচ্ছে না।
সোনার এমন বাজার চিত্রে হতাশ দেশের ক্রেতা-ভোক্তারা। তাঁরা বলছেন, এবার বাজেটে বড় ছাড় দেওয়ার পর মনে হয়েছিল দাম কমবে। কিন্তু এ বিষয়ে ব্যবসায়ীদের তেমন কোনো ঘোষণা না আসায় বাজেট সুবিধার সুফল পাওয়া গেল না।
জানা যায়, দেশে বৈধ পথে সোনা আমদানি শুরু হয়নি এখনো। অথচ দেশে প্রতিবছর ২০ থেকে ৪০ টন সোনার চাহিদা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, এর বড় অংশ বিদেশফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করেন তাঁরা। কিছুটা আমদানি করে এবং বাকিটা পুরনো সোনা গলিয়ে।
এই দুই বছর প্রতি বাজেটেই আমদানিতে সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। চলতি অর্থবছরের শুল্কসুবিধার সঙ্গে আগামী অর্থবছরের জন্য সোনার আমদানিতে ১৫ শতাংশ ভ্যাটের পুরোটাই প্রত্যাহারের প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী। দেশে আমদানিকে উৎসাহিত করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে বাজেট বক্তব্যে বলা হয়েছে। এতে ভরিতে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা আমদানি খরচ কমবে বলেও মনে করছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতির সভাপতি এনামুল হক খান জানান, আপাতত সোনার দাম কমার সম্ভাবনা নেই। ভ্যাট প্রত্যাহারের তিনি বলেন, এতে আমদানি খরচ কমে ঠিক। কিন্তু আমাদের ব্যবসা সোনা আমদানি করে হয় না। এ ছাড়া যতটুকু কমানো হয়েছে তা আমদানি উৎসাহিত করতে যথেষ্ট নয়।
আনন্দবাজার/শহক