রোজাকে সামনে রেখে একের পর এক নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। তবে এখন চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজ, আদা, রসুনসহ বিভন্ন নিত্যপণ্যের দাম কিছুটা কমছে।
সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, রোজার এক সপ্তাহে মাত্র দু’টি পণ্যের দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮টি পণ্যের। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের পণ্যের দামের তথ্য নিয়ে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
দাম কমা পণ্যগুলোর সবকটিই রোজায় অন্য সময়ের তুলনায় চাহিদা বেশি থাকে। এর মধ্যে রয়েছে- পেঁয়াজ, রসুন, আদা, মসুর ডাল, লুজ সয়াবিন তেল, খেজুর, ছোলা, পাম অয়েল এবং চাল।
টিসিবির হিসাবে রোজার মধ্যে সব থেকে বেশি দাম কমেছে আদার। ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা আদার দাম কমে ১৮০-২০০ টাকায় নেমেছে। আর ২৫০-৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া দেশি আদার দাম কমে হয়েছে ১৫০-২০০ টাকা। খেজুরের দাম রোজায় ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমেছে বলে টিসিবির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
১৫০-১৭০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আমদানি করা রসুনের কেজি কমে ১৪০-১৬০ টাকায় নেমে এসেছে। বড় দানার মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮৫-৯৫ টাকা, যা রোজার আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা। ৯৫ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া লুজ সয়াবিন তেলের কেজি কমে ৯২-৯৩ টাকা হয়েছে।
রোজায় অত্যাবশ্যকীয় হিসেবে পরিচিত আরেক পণ্য ছোলার দাম রোজার মধ্যে কমেছে ৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। পাম অয়েলের (সুপার) ৮০-৮৫ টাকা থেকে ৮০-৮৩ টাকা হয়েছে। সরু চালের দাম ৬০-৬৮ টাকা থেকে কমে ৫৮-৬৫ টাকা হয়েছে। আর মাঝারি মানের চালের কেজি ৪৮-৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ৪৮ থেকে ৫৫ টাকা।
রোজার মধ্যে নতুন দাম বেড়েছে ছোট দানার মসুর ডাল ও এলাচের। এর মধ্যে ছোট দানার মসুর ডালের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ। এক সপ্তাহ আগে ১২০-১৩০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পণ্যটির দাম বেড়ে এখন হয়েছে ১৩০-১৪০ টাকা। আর ছোট এলাচের দাম ৪০০০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৪২০০ টাকা।
দামের পার্থক্য থাকলেও টিসিবির প্রতিবেদনে যেসব পণ্যের দাম কমার তথ্য উঠে এসেছে, রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা ব্যবসায়ীরাও সেসব পণ্যের দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন।
আনন্দবাজার/শহক