শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পণ্যের বাড়তি শুল্ক রাখায় ভুগছে ক্রেতারা

আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের  দাম কমলেও বাড়তি শুল্ক আদায়ের কারণে দেশে কমছে না পণ্যের দাম। এতে ক্রেতাদেরও বাড়তি দামে পণ্য কিনতে হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি, পেট রেজিন, পেট ফিল্মের দাম কমলেও এসকল পণ্যের আমদানিকারকদের বাড়তি শুল্ক দিতে হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত ট্যারিফ মূল্যের কারণে এ বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

জানা যায়, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে এক মেট্রিক টন চিনির মূল্য ৩৫০-৩৭০ মার্কিন ডলার। অথচ ট্যারিফ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৩০ ডলার। অর্থাৎ ৩৫০-৩৭০ ডলার দিয়ে পণ্য কিনে ৪৩০ ডলার হিসেবে শুল্ক দিতে হচ্ছে। এদিকে একইভাবে প্রতি মেট্রিক টন পেট রেজিনের বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য ৬৫০-৭০০ ডলার। অথচ ট্যারিফ মূল্য ১১৫০ ডলার। আর প্রতি মেট্রিক টন পেট ফিল্মের বাজার মূল্য ১৫০০-১৬০০ ডলার। তবে ট্যারিফ মূল্য ২০০০ ডলার।

 আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে ট্যারিফ মূল্য সমন্বয় হতো, তাহলে ব্যবসায়ীরা কম দামে বাজারে পণ্য বিক্রি করতে পারতেন। যার চূড়ান্ত সুবিধা পেতেন ভোক্তারা, এমন দাবি ব্যবসায়ীদের।

যোগাযোগ করা হলে সিটি গ্রুপের মহাব্যবস্থাপক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, প্রতিকেজি চিনি আমদানির জন্য ২২ টাকা শুল্ক দিতে হচ্ছে। ৩৭০ ডলারে মাল নিয়ে এলে এখানে কস্টিং (ব্যয়) দাঁড়াবে ৬৫-৭০ টাকা কেজি। যদি আন্তর্জাতিক বাজার দামের সঙ্গে সমন্বয় করে ট্যারিফ মূল্য কমানো হতো, তাহলে বাজারে এখন যে দামে চিনি বিক্রি হচ্ছে ক্রেতারা তার থেকে কম দামে কিনতে পারতেন।

এদিকে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের গৃহ সাজাতে বর্তমানে আসবাবপত্রে স্থান করে নিয়েছে প্লাস্টিকের রকমারি সামগ্রী। বই-খাতা, কাপড়, জুতা রাখতে প্লাস্টির র্যাক প্রায় অপরিহার্যই হয়ে পড়েছে। অতিথি আপ্যায়নে চেয়ার-টেবিল, বাথরুমে বালতি-মগের ব্যবহার হচ্ছে দেদার।

আরও পড়ুনঃ  রফতানি খাতে সম্ভাবনাময় খেলনা শিল্প

দেশে প্রায় সব ধরনের আসবাবপত্র এখন প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি হচ্ছে। গ্লাস, জগ, টি টিবিল, টিফিন বক্স, প্লেট, জার, বোল, ড্রাম, বদনা, পানির বোতলসহ গৃহের প্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যই পাওয়া যাচ্ছে প্লাস্টিকের। তবে প্লাস্টিকের সামগ্রী তৈরির কাঁচামালসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করতেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি শুল্ক।

আনন্দবাজার/রনি

সংবাদটি শেয়ার করুন