বৃহস্পতিবার, ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৪ঠা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আবারও চালের দাম কেজিতে বেড়েছে তিন টাকা

আবারও প্রতি কেজি চালের দাম বেড়েছে তিন টাকা। সব ধরেণের চালেই বেড়েছে এই  দাম। গত এক মাস আগেও ৩৫ টাকায় এক কেজি মোটা চাল পাওয়া যেতো। এখন সেই চাল বিক্রি হচ্ছে ৩৮ টাকা করে। এছাড়াও ৩২ টাকায় যে চাল পাওয়া যেতো এখন ক্রেতাকে সেই চাল ৩৫ টাকা করে কিনতে হচ্ছে। শুক্রবার (৬ মার্চ) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, শুধু মোটা চালই নয়, চিকন চালের দামও কেজিতে বেড়েছে দুই থেকে তিন টাকা। নতুন চাল আসার আগ পর্যন্ত চালের দাম কিছুটা বাড়তি থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, পহেলা বৈশাখের পর চালের দাম আবারও কমে আসবে। কারণ, এখন আমনের মৌসুম শেষ পর্যায়ে। সামনে বোরো ফসল উঠবে।

কাওরান বাজারের চাল ব্যবসায়ী আবদুল আওয়াল বলেন, ‘প্রতিবছরই এই সময় চালের দাম কিছুটা বাড়তির দিকেই থাকে। দুই মাস পর চালের দাম কমে আসবে।’ তিনি বলেন, ‘এখন চিকন চাল ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছি, দুই মাস পর এই চালই অন্তত কেজিতে পাঁচ টাকা কমে আসবে।’

এদিকে সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)-এর তথ্য বলছে, গত এক মাসে মোটা চালের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ। গত এক বছরে এই চালের দাম বেড়েছে ৪ দশমিক ১৭ শতাংশ। তবে গত এক বছরে চিকন মানের মিনিকেট ও নাজিরশাইল চালের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৬৮ শতাংশ।

আরও পড়ুনঃ  বিচারে শেখ হাসিনাকে উপস্থিত থাকতে হবে: রিজওয়ানা

অন্যদিকে, ভারত রফতানি বন্ধের আদেশ তুলে নেওয়ায় দেশের বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় রাজধানীর বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। এছাড়াও সবজির বাজারে দেখা যায়, করলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়। বরবটির কেজি ৮০-১০০ টাকা। মাঝারি আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা করে। শসার কেজি ২০-৩০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০, পাকা টমেটো ৩০-৪০, শিম ৩০-৪০ টাকা। ফুলকপি-বাঁধাকপি প্রতি পিস ৩০ টাকা, গাজর প্রতিকেজি ২০-৩০ টাকা, শালগমের কেজি ২৫-৩০ টাকা, মুলা ২০-২৫ টাকা আর বেগুন ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আনন্দবাজার/রনি

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন