মঙ্গলবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২রা আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হঠাৎ করেই বেড়েছে স্পিনিং সুতার দাম

দেশের পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত সুতার দাম বেড়েছে। পোশাক খাতের বায়িং হাউজগুলোর অভিযোগ, তুলার আন্তর্জাতিক বাজারে নভেল করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব না পরা সত্ত্বেও এ অজুহাতকে কাজে লাগিয়ে স্পিনিং মিলগুলো সুতার দাম বাড়িয়েছে ১০-১৫ শতাংশ। এ নিয়ে বায়িং হাউজগুলোর পক্ষ থেকে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর বাংলাদেশ গার্মেন্ট বায়িং হাউজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিবিএ) দেয়া ওই চিঠির বিষয়বস্তু ছিল সুতার মূল্য স্থিতিশীল রাখা।

চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি নভেল করোনাভাইরাসের ব্যাপ্তির সুযোগ নিয়ে দেশের স্পিনিং মিলগুলো পোশাক শিল্পে ব্যবহৃত সুতার দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে এ দাম মাত্র দুইমাসের ব্যবধানে ১০-১৫ শতাংশ বেড়েছে। অথচ তুলা রফতানিকারক দেশ যেমন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলো নভেল করোনাভাইরাস বা অন্য কোনো কারণে তুলার মূল্য বাড়ায়নি।

সুতার বর্তমান বাজার পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। বিকেএমইএর সাবেক সহসভাপতি ফজলে এহসান শামীম বণিক বার্তাকে বলেন, সুতার দাম বেড়েছে। ২ দশমিক ৮০ সেন্টের সুতা এখন বিক্রি হচ্ছে ৩ ডলার বা ৩ ডলার ৫ সেন্ট করে। কয়েকদিন আগেও তা ২ দশমিক ৭৫ সেন্ট ছিল। আজো তারা সুতার দাম ১০ সেন্ট বাড়িয়েছে। এখন এমনিতেই রফতানি ক্রয়াদেশ ধরতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এ অবস্থায় সুতার মূল্যবৃদ্ধি পেয়ে বাড়তি চাপ সৃষ্টি হয়েছে। রফতানির স্বার্থে এটা কোনোভাবেই ইতিবাচক না।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন সাংবাদিকদের জানান, সুতার দাম বৃদ্ধিতে নভেল করোনাভাইরাসের কোনো প্রভাব পরেনি। কারণ বাংলাদেশে চীন থেকে কোনো সুতা আনা হয়না। বরং এখন বাংলাদেশের সুতার চাহিদা বেড়েছে। এখন চাহিদা মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। যারা করোনাকে দায়ি করছে, তারা না বুঝেই বলছেন। প্রকৃত কারণ হলো হঠাৎ করে নিট খাতে প্রচুর ক্রয়াদেশ আসছে। আগে যিনি ২০ টন অর্ডার দিতেন, তিনি এখন ১০০ টন অর্ডার দিচ্ছেন। চাহিদা ও সরবরাহের গ্যাপে বেড়েছে সুতার দাম। অন্যদিকে এখন তুলার ফসল সংগ্রহের সময় না। তাই দামটাও পড়ছে না।

আরও পড়ুনঃ  ফাগুনের আগুন লেগেছে সবজির বাজারে

আনন্দবাজার/তা.তা

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন