শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
রমজানের বাজার

চাল, তেল, চিনি ও খেজুরে শুল্ক ও কর কমাল সরকার

চাল, তেল, চিনি ও খেজুরে শুল্ক ও কর কমাল সরকার

আসন্ন পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক ও করে ছাড় দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

পণ্যগুলোতে শুল্ক ও কর ৫ শতাংশ থেকে সর্বোচ্চ ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সই করা পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) প্রজ্ঞাপনটি জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, চাল আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর মিলিয়ে ৪৭.২৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। বিদ্যমান শুল্ক ও কর ৬২.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫.২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূরক শুল্ক কমানো হয়েছে ২০ শতাংশ। যা বয়েল ও নন-বয়েল চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে রেয়াতি হারে চাল আমদানির পূর্বে প্রত্যেক চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। এই সুবিধা আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

সরকার পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের ওপর প্রযোজ্য কর (ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। যা আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এছাড়া, চিনির ক্ষেত্রে প্রতি মেট্রিক টনে শুল্ক দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার টাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই সুবিধা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। খেজুর আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও কর ৫৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে। যার মধ্যে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ কমানো হয়েছে। এটি আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

আরও পড়ুনঃ  ‘সিংহভাগ মানুষ মনে করেন কর দেওয়া ঝামেলার বিষয়’

প্রসঙ্গত, গত ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে রমজান উপলক্ষ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রমজানে যাতে এসব পণ্যের সরবরাহ কম না হয়। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি চাল, ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুরের ওপর শুল্ক ও করে ছাড় দিতে এনবিআরে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন