শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের ৫ ভাগের একভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন: বিবিএস

দেশের ৫ ভাগের একভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বিবিএস

দেশে পাঁচ ভাগের এক ভাগ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে ‘খাদ্য নিরাপত্তা জরিপ-২০২৩’ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে শহরের তুলনায় গ্রামে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার পরিমাণ বেশি বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ২০১৬ সালের চেয়ে মানুষের ভাত ও ডিম গ্রহণের হার কমেছে।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) প্রকাশিত ‘খাদ্য নিরাপত্তা জরিপ-২০২৩’ প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

জরিপে দেখা যায়, দেশের ২১ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। অর্থাৎ প্রায় প্রতি পাঁচজনে একজন এই সমস্যায় রয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষের বসবাস গ্রামে। আঞ্চলিক দিক থেকে রংপুরের মানুষ সবচেয়ে বেশি প্রায় ৩০ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীন ভুগছেন। আর সবচেয়ে কম ঢাকার ১৬ শতাংশ একই সমস্যায় আছেন।

২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের (২০২৩) ডিসেম্বর পর্যন্ত নগর, মহানগর ও গ্রামের ২৯ হাজার ৭৬০ খানা থেকে ৮টি প্রশ্নের মাধ্যমে উপাত্ত আমলে নেয়া হয়। পরিসংখ্যানে দেখানো হয়, গ্রামে বসবাসরত জনসংখ্যার ২২ দশমিক ৩৬ শতাংশ খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। শহরে যে হার ১৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ। এছাড়া জরিপে উঠে আসে দেশের মানুষ এখন প্রতিদিন গড়ে ৩২৮ গ্রাম ভাত গ্রহণ করেন। ২০১৬ সালে যার পরিমাণ ছিল ৩৬৭ গ্রাম। ওই সময় দৈনিক ১৩ দশমিক ৬ গ্রাম ডিম গ্রহণ করতেন মানুষ। এখন তা কমে ১২ দশমিক ৭ গ্রামে নেমে এসেছে। একই সময়ে পেঁয়াজ গ্রহণের পরিমাণও কমেছে।

উল্লেখ্য, দেশের মোট আয়ের ৩০ শতাংশ উচ্চ আয়ের ৫ শতাংশ মানুষের হাতে আবদ্ধ রয়েছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। এছাড়া, নিম্ন আয়ের ৫০ শতাংশের হাতে আছে মাত্র ১৮ শতাংশ। ফলে দারিদ্র্যের চেয়ে বৈষম্য বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। শহরে দারিদ্র কমলেও আর্থিক দুর্বলতা বেড়েছে। মধ্যবিত্তের আয় হ্রাস পেয়েছে প্রায় ১০ শতাংশ। সেই সঙ্গে কমেছে খাদ্য গ্রহণও। উক্ত প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও তথ্য বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।

Print Friendly, PDF & Email
আরও পড়ুনঃ  শুধুই পুঁজি হারানোর হাহাকার

সংবাদটি শেয়ার করুন