শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনার বাজারে নতুন পেঁয়াজে ভরপুর খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা

পাবনার বাজারে নতুন পেঁয়াজে ভরপুর খুশি ক্রেতা-বিক্রেতারা

পাবনা জেলা পেঁয়াজ উৎপাদনে দেশে শীর্ষে। এ জেলার তিন জেলার কেন্দ্রস্থল কাশিনাথপুর হাটে আজ ১৪ ডিসেম্বর হাটে দেখা মেলে পযাপ্ত পেয়াজ আমদানি। তবে গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহে কমেছে পেয়াজের দাম। আজ কাশিনাথপুর বাজারে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হয় ৩ হাজার থেকে ৩৬০০ টাকা মন।নতুন পেঁয়াজ ওঠায় পাবনায় পাইকারি ও খুচড়া বাজারে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। দুই দিনের ব্যবধানে প্রতিমণ পেঁয়াজের দাম কমেছে দুই থেকে আড়াই হাজার টাকা। দাম আরও কমবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসাযীরা।

বাজার পরিদর্শন করে জানান যায়, দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় খুচড়া বাজারে দাম কমেছে। প্রতিকেজি নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা দরে। যেটি দুই দিন আগেও ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। একদিকে নতুনের সরবরাহ বৃদ্ধি, অন্যদিকে ক্রেতা কম-দুইয়ে মিলে দেশি পুরান পেঁয়াজের দামও কেজিতে কমেছে ৪০ টাকা। বর্তমানে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

জেলা কৃষি সমাপ্রসারণ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পাবনায় ৫৩ হাজার ২৭ হেক্টর জমিতে ৭ লাখ ৬৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে মুড়িকাটা পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে সাড়ে ৯ হাজার হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১ লাখ ১৮ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।

ঢাকার থেকে পাবনায় কাশিনাথপুরে পেঁয়াজ কিনতে আশা ব্যবসায়ীরা জানান, বৃহস্পতিবার কাশিনাথপুর পেঁয়াজ বাজার থেকে পুরান পেঁয়াজ কেনেন ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকা মণ দরে। আর আজ পুরান পেঁয়াজ কিনেছেন সাড়ে ৫ হাজার থেকে সাড়ে ৫ হাজার টাকায়। আর নতুন ভালো মানের পেঁয়াজ ৩০০০ থেকে ৩৬০০ টাকা মণ দরে।

আরও পড়ুনঃ  গভর্নর হতে যাচ্ছেন আব্দুর রউফ

জেলার সুজানগর শ্রীপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষি আকবর আলী বলেন, ‘দেড় বিঘা পেঁয়াজ আবাদ করেছি। আজ বাজারে পেঁয়াজ আনছিলাম। ৩৪০০ থেকে ৩৬০০ টাকায় সবচেয়ে ভালো পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। আর তার নিচের পেঁয়াজ ৩২০০ থেকে ৩৩০০ টাকা মণ বাজার পেয়েছি।’

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী মইনুল রহমান বলেন, ‘নতুন পেঁয়াজ ৩৩০০ থেকে ৩৮০০ টাকা মণ। আর পুরাতন পেঁয়াজ প্রতিমণ বিক্রি হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টাকা দরে। দু–এক দিনের মধ্যে দাম আরও কমে যাবে। এখন আমদানি হচ্ছে।

পাবনার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপপরিচালক ড. মো. জামাল উদ্দিন বলেন, চলতি বছরে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছ।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন