শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কমলো ব্রয়লারের দাম

ব্রয়লারের দাম কমলো
  • দেশি মুরগি চড়া, ৬১০ থেকে ৭০০টাকা
  • ব্রয়লার কোথাও কোথাও কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে

রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে ব্রয়লার মুরগির দাম কমেছে, তবে দেশি মুরগির দাম বেড়েছে। কোথাও কোথাও কেজিতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হয়েছে। কোথাও বিক্রি হয়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমে। দেশি মুরগির দাম ৬১০ টাকা কেজি থেকে লাফ দিয়ে ৭০০ টাকায় উঠেছে।

ব্রয়লার মুরগি তিন দিন আগেও রাজধানীতে ২৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল বিভিন্ন বাজারে ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে এই দামও আগের চেয়ে অনেক বেশি বলে মনে করে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন।

সংগঠনটি বলছে, এক কেজি ব্রয়লার মুরগি উৎপাদন করতে প্রান্তিক খামারিদের খরচ হয় ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। অন্যদিকে বড় চারটি কম্পানির খরচ হয় ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। ব্রয়লারের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে দেশি মুরগির দাম। ৬১০ টাকা থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়, যা গরুর মাংসের দামের কাছাকাছি।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আগের দিনের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। তবে দেশি জাতের মুরগি প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকা বেশি।

কারওয়ান বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. হোসেন বলেন, ‘গতকাল ব্রয়লারের দাম ছিল ২৬০ টাকা, আজ ২৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। আমাদের কেনা দাম পড়েছে ২৩০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগি ৩৬০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি। দেশি মুরগি ৭০০ টাকা কেজি। এটার দাম দু-তিন দিন আগে ছিল ৬০০ থেকে ৬১০ টাকা কেজি।’

আরও পড়ুনঃ  ইভ্যালির অর্থ প্রকৃত পাওনাদাররা ফেরত পেতে পারেন: হাইকোর্ট

আরেক মুরগি ব্যবসায়ী মো. ফয়েজ মিয়া জানান, তাঁর ব্রয়লার কিনতে প্রতি কেজিতে ২২৮ টাকা খরচ হয়েছে। বিক্রি করছেন ২৫০ টাকা কেজি দরে। তিনি বলেন, ‘যারা পাইকারি বিক্রি করে, তাদের কাছ থেকে আমরা মুরগি নিই। এ জন্য আমাদের দাম একটু বেশি পড়ে। হোটেল বন্ধ থাকায় সামনে মুরগির দাম আরো কমবে। কারণ চাহিদা কমে গেছে।’

বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, সরকারের তদারকি না থাকার কারণে দেশের পোলট্রি খাতে হরিলুট চলছে। এই খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৫২ দিনে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

সংগঠনটির সভাপতি সুমন হাওলাদারের ভাষ্য, প্রান্তিক খামারিদের ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন খরচ প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। অন্যদিকে করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন খরচ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা। কিন্তু পাইকারি পর্যায়ে সর্বোচ্চ ২৩০ টাকা কেজি দরে মুরগি বিক্রি করা হয়েছে। এতে করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো কেজিপ্রতি ৬০ টাকার বেশি লাভ করেছে।

আনন্দবাজার/শহক

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন