শুক্রবার, ২৬শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১১ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শীতের পদধ্বনি---

দাম বেড়েছে লেপ-তোষকের

দাম বেড়েছে লেপ-তোষকের

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে আসছে শীতের আগমনী বার্তায় সামনে রেখে লেপ তোষকের কদর বাড়ছে। স্থানীয় হাটবাজারে লেপ তোষকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে। এতে লেপ, তোষক, জাজিম, বালিশ তৈরির কাজে রেডিমেট দোকানিদের ব্যস্ততা বেড়েছে। ৫ থেকে ৬ হাতের প্রতিটি লেপ তোষকের মজুরি ধরা হচ্ছে ৩শ’ টাকা। এসব রেডিমেট লেপ তৈরির কাজে বেশির ভাগ ব্যবহার করা হচ্ছে সাদা ও চায়না অটো তুলা। তোষকে ব্যবহার করা হচ্ছে উইল তুলা, গোলাপী তুলা, হলুদ তুলা ও পঁচা তুলার। এ সাইজের রেডিমেট প্রতিটি লেপের মূল্য ধরা হচ্ছে ১৫শ’ থেকে ১৯শ’ টাকা করে। একটি তোষকের মূল্য ধরা হচ্ছে ১২শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা পর্যন্ত। এছাড়াও সাইজ, তুলা ও কাপড় ভেদে লেপ ও তোষকের দাম কম বেশি হতে পারে। ক্রেতারা চাইলে তাদের পছন্দের তুলা, কাপড় ও সাইজ অনুযায়ী লেপ তোষকসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরির অর্ডার দিতে পারছেন। 

দেখা যায়, স্থানীয় বিভিন্ন হাটবাজরে দিন রাত সমান তালে শীতকে সামনে রেখে রেডিমেট দোকানে লেপ তোষক তৈরির কাজে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছেন। শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের শ্রীনগর বাজার, ধাইসার, দেউলভোগ ও চকবাজার এলাকায় প্রায় ১০ থেকে ১২টি রেডিমেট বেডিং স্টোর রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার কিংবা রাস্তার পাশে ঘর ভাড়া নিয়ে মৌসুমী কারিগরা গ্রামের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে ঘুরে ঘুরে লেপ তোষক তৈরির কাজ করছেন।

দোকানী শামীম, শাজাহান, রুবেল, সোনা মিয়া জানান, লেপ তোষক তৈরির বিভিন্ন উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই তুলনায় লেপ তোষকসহ অন্যান্য জিনিসপত্র তৈরি কাজের মজুরি বেড়েনি। প্রকার ভেদে তুলা, কাপড় সুতার দাম বেড়েছে।

আরও পড়ুনঃ  সয়াবিনের বোতলে ঘঁষামাজা লেবেল

শ্রীনগর ডাকবাংলো সংলগ্ন চকবাজার রোড আল্লাহ্ও দান বেডিং স্টোরের কর্ণধার মো. লিটন বলেন, বছরের এ সময় লেপ ও তোষকের কদর বাড়ে। তাই অন্যান্য সময়ের তুলনায় এখন কাজের চাপ বাড়ছে। প্রতিদিন গড়ে ৩ থেকে ৪টি রেডিমেট লেপ-তোষক প্রস্তুত করছেন তিনি। শীতের ভরা মৌসুমে কাজের চাপ বাড়বে। এছাড়া লেপ, তোষক, শিমুল তুলার বালিশ, জাজিমসহ অন্যান বেডিং সামগ্রীর অর্ডার দিতে ক্রেতারা আসছেন।

জানা যায়, লেপের জন্য প্রতি কেজি চায়নার অটো তুলা ২৫০ টাকা, সাদা তুলা ১৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তোষকের তুলা হিসেবে প্রতি কেজি উইল তুলা ১২০ টাকা, গোলাপী ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, হলুদ তুলা ৭০ টাকা ও পাচ মিশালি পঁচা তুলার কেজি ৩০ টাকা ধরা হচ্ছে। এছাড়া বালিশ তৈরির জন্য শিমুল তুলার কেজি প্রতি দাম ধরা হচ্ছে ধরা ৬শ’ টাকা ও কেজি প্রতি ফাইবার তুলার দাম ধরা হচ্ছে ৪শ’ টাকা করে। রেডিমেট জাজিম বিক্রি করা ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা দরে। তবে উপকরণ সামগ্রীর গুণগত মান ও আকার সাইজের হিসেব অনুযায়ী তৈরিকৃত লেপ-তোষকসহ বেডিংপত্রের দাম কম বেশি হতে পারে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন