শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেশি দামেই সয়াবিন

বেশি দামেই সয়াবিন

দাম কমার প্রভাব নেই খুচরা বাজারে

দাম বাড়ানোর পর থেকেই খুচরা বাজারে খোলা নেই চিনি। এমনকি বোতলজাত সয়াবিন তেলও যেন মরিচিকা। এখনও ক্রেতাদের বেশি দামেই খোলা সয়াবিন কিনতে হচ্ছে। এর আগে গত মঙ্গলবার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১৪ টাকা কমিয়ে ১৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়।” অন্যদিকে “খোলা চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ৯০ টাকা করা হয়।”

নতুন দাম প্রসঙ্গে খুচরা বিক্রেতারা বলেন, সব কোম্পানি বাজারে নতুন দামের তেল এখনও সরবরাহ করেনি। আবার খোলা সয়াবিনের নির্ধারিত দাম ১৫৮ টাকা হলেও প্রায় ৭ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে নির্ধারিত দামের চেয়ে কম দামে পাম তেল বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে নতুন দামের তেল সরবরাহ না হওয়ার বিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলেন, এখনও ডিলারদের থেকে নতুন দামের সয়াবিন তেল পাইনি। গত মঙ্গলবার তেলের দাম কমানো হয়েছে। কিন্তু অনেক কোম্পানি নতুন দামের তেল সরবরাহ করেনি এখনও। তেলের দাম বাড়লে রাতারাতি বাজারে দাম বেড়ে যায়। কিন্তু দাম কমলে বাজারে তেল আসতে সময় লাগে।

গত বৃহস্পতিবার প্রতি লিটার পাম তেলের দাম ১২৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ দামের চেয়ে বেশ কম দামেই বাজারে এ তেল পাওয়া যাচ্ছে। এবিষয়ে খুচরা বিক্রেতারা বলেন, বাজারে পাম তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। প্রতি লিটার ১১০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

জানা যায়, খোলা চিনির দাম কেজিতে ৬ টাকা বাড়িয়ে ৯০ টাকা করা হলেও এখনও সরবরাহ সংকট কাটেনি। এছাড়া বিক্রয় রশিদ না পাওয়ার অভিযোগ করেন খুচরা বিক্রেতারা। বাজারে খোলা চিনির সংকট নিয়ে একাধিক বিক্রেতারা বলেন, প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা হলেও ডিলাররা এই দামে সরবরাহ করছেন না। এর জন্য আমরা গেল ১ সপ্তাহ যাবত খোলা চিনি বিক্রি করছি না।

আরও পড়ুনঃ  পেঁয়াজ না বেচেই বাড়ি ফেরা!

আরও বলেন, চিনির দাম বেড়েছে। তবে ডিলাররা তো আমাদের রশিদ দিবেন। তারা তো আমাদের রশিদ দিচ্ছেন না। তাহলে প্রমাণ কী, যে আমি এ দামে চিনি কিনে এনেছি।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন