এখনও ঠিকমত কাটেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ। এরমধ্যে আবার বাড়তি খরচে নতুন করে যোগ হলো ভোজ্যতেল ও চিনির দামে। দীর্ঘদিন স্থিতিশীল থাকার পর লিটারে ৮ টাকা বেড়েছে সয়াবিন তেলের দাম আর কেজিতে ৭ টাকা বেড়েছে চিনির দাম।
তবে কোম্পানিগুলো দাবি করছে, চলতি অর্থবছরের বাজেটে ভ্যাট বাড়ানো এবং বিশ্ববাজারে এই দুই পণ্যের দরবৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয় বেশি হচ্ছে। আর এ জন্যই কোম্পানিগুলো দাম বাড়াতে বাধ্য হচ্ছে। ইতিমধ্যে কোম্পানিগুলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোজ্যতেল ও চিনির দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে এবং এই বিষয় নিয়ে আজ রবিবার মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করবেন ব্যবসায়ীরা।
কোম্পানির এক পরিবেশক জানান, ১০২-১০৩ টাকার এক লিটারের তেলের বোতল এখন ১১০ টাকায় কিনতে হবে। অর্থাৎ লিটারপ্রতি সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে ৭-৮ টাকা। তবে পাঁচ লিটারের বোতলে বেড়েছে লিটারপ্রতি ৪-৬ টাকা যার খুচরা মূল্য ৫৩০ টাকা এর আগে ৫০০ টাকা ছিল।
দরবৃদ্ধি শুধু মাত্র বোতলের তেলে থেমে থাকেনি যুক্ত হয়েছে খোলা সয়াবিন তেলেও। এখন খুচরা তেল লিটারপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ৮৬-৮৮ টাকায়। যা গত মাসে ৮০-৮২ টাকায় বিক্রি হয়ে ছিল। এক মাসের ব্যবধানে পাম তেলও লিটারপ্রতি ৬৫-৬৬ টাকা থেকে বেড়ে ৮৪-৮৬ টাকায় পৌঁছে গেছে। আর সুপার পাম তেল একই সময়ে প্রায় ৯ টাকা বেড়ে ৭৯-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিগুলো কেজিতে প্যাকেটজাত চিনি ৭ টাকা বাড়িয়ে ৭২ টাকা খুচরা মূল্য নির্ধারণ করছে। আর কেজিপ্রতি ৫ টাকা বাড়িয়ে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকায়। অথচ গত মাসে এই খোলা চিনি বিক্রি করা হতো ৫৫-৫৬ টাকায়।
সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা জানান, এর আগে কম ব্যয়ে আনা তেল ও চিনি বাজারে ছাড়া হয়েছে। এ কারণে কোম্পানিগুলো এতদিন কম দামে পণ্যগুলো বিক্রি করে ছিল। তবে চলতি অর্থবছরে থেকে বাড়তি শুল্ক্ক দিতে হচ্ছে পাশাপাশি ডলারের দরও বেড়েছে। তাই এসব পণ্যের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছে।
আনন্দবাজার/এম.কে