শনিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঝাল কমলো কাঁচামরিচের!

ঝাল কমলো কাঁচামরিচের!

বগুড়ার আদমদীঘিতে দুইদিনের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম খুচরা বাজারে প্রতি কেজিতে ১০০ টাকা কমেছে। দুইদিন আগেও শুক্রবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। গতকাল সোমবার দাম কমে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুধু তাই নয়, এখন পাইকারি বাজারে মরিচের দাম মাত্র ৫০ টাকা কেজি। দিনভর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

চলতি মৌসুমে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়  প্রায় সাড়ে তিন শতাধিক বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করা হয়েছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার মরিচ চাষের পরিমাণ কিছুটা বেশি ছিল। নিত্যদ্রব্যের দাম বৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচের দামও বৃদ্ধি করা হয়েছিল। গত এক সপ্তাহ যাবৎ প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা। হঠাৎ করে পাইকারি বাজারে মরিচের দাম নেমে আসে মাত্র ৫০ টাকায়। শনিবার সকাল থেকে পাইকারি বাজারে দাম কমে যাওয়ার কারণে দাম কমে যায় খুচরা বাজারে।

উপজেলার ছাতিয়ানগ্রামের মরিচ চাষী ইসরাইল হোসেন জানান, প্রতি বিঘা জমিতে মরিচ চাষের জন্য প্রায় ২৫-৩০ হাজার টাকা খরচ হয়ে থাকে। হঠাৎ পাইকারি বাজারে ২০০ টাকা কেজির মরিচ মাত্র ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে উৎপাদন খরচ তোলা সম্ভব হচ্ছে না।

কাঁচা মরিচ পাইকারী ব্যবসায়ী মামুনুর রশিদ জানান, হাট বাজারে কাঁচা মরিচ হঠাৎ করে সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং মোকামে মরিচের চাহিদা কমে যাওয়ায় দাম কমে গেছে।

উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের মরিচ ক্রেতা রঞ্জু আহম্মেদ জানান, শুক্রবার সকালে খুচরা বাজারে যে মরিচ কিনেছিলাম ২০০টাকা কেজি শনিবার বিকেলে সেই মরিচের দাম মাত্র ১০০টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  স্বপ্ন দেখাচ্ছে ‘সোনালি আঁশ’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, উপজেলায় ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা রয়েছে। এরমধ্যে বেশিরভাগ মরিচ চাষ হয় ইউনিয়ন এলাকাগুলোতে। সার্বক্ষনিক কৃষকের পাশে ছিল কৃষি বিভাগ। ফলে এবার মরিচের ফলনও ভালো হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email

সংবাদটি শেয়ার করুন