রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৭ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমের গ্রামীণ বাজার জমজমাট

আমের গ্রামীণ বাজার জমজমাট

দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের বাজারগুলোতে পাকা আম বেচাকেনা জমে উঠেছে। নিজ বাড়িতে লাগানো গাছ কিংবা বাগানের গাছ থেকে আম নামিয়ে বাজারে তুলছেন আমচাষিরা। এতে প্রান্তিক বাজারগুলোতে বেচাকেনা বেড়েছে। যাদের গাছ নেই তারা যেমন আম কিনছেন, অনেকে আবার বাগানমালিকদের কাছ থেকে কম দামে আম কিনে দূরের বাজারে বেশি দামে বিক্রি করছেন।

সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামের উলিপুরে উপজেলার গ্রামীণবাজারগুলোতে আমের বাজার জমজমাটভাবে শুরু হয়েছে। তবে আম কেজিতে বিক্রি হচ্ছে না। বিক্রি হচ্ছে হালিতে (৬টি)। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাকরের হাট, জুম্মাহাট, বজরা, নাগড়াকুড়া, সাতদগাহ, মিঠিপুর বাজার, থেতরাই, দলদলিয়া, কাল্পনি বাজার, তেঁতুলতলা, গাবের তল, গুনাইগাছ, মাড্ডাইর বাজার, বামনের হাট, ফাঁসিদাহ বাজারসহ আরও অনেক গ্রামীণ বাজারে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় প্রত্যেক বাজার ভরে উঠেছে আমে আমে।

গ্রামের বাজারগুলোতে সারি সারি হয়ে আম নিয়ে বসছেন বিক্রেতারা। উৎসব মুখর পরিবেশে আম বেচাকেনা চলছে। বাজারে হালি প্রতি দাম ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। ক্রেতারা আনন্দের সঙ্গে আম দেখে শুনে কিনছেন। বর্তমানে আমের মৌসুম হওয়ায় গাছে গাছে প্রচুর আম দেখা যাচ্ছে। প্রত্যেক গাছে আম পাকা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন পাকা আম নিয়ে বাজারে এসে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এসব বাজারে আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা কম।

আম বিক্রেতা সৈয়দ আলী বলেন, আমার বাড়িতে সাতটি থেকে ১০টি আমগাছ আছে। এবারে প্রচুর আম ধরেছে। প্রতিদিন গাছ থেকে পাকা আম মাটিতে পড়ে। আমার পরিবারের সবাই আম খাওয়ার পরেও অনেক আম থাকে। তাই অতিরিক্ত আম বাজারে বিক্রি করতে এসেছি। তিনি বলেন, এবারে আমে অনেক রোগ বালাই দেখা দিলেও ফলন অনেক ভালো হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ  জনবান্ধব বাজেট জরুরি

ক্রেতা সাহালম, আবুসালেখ, সাহালম, জহুরুল সহ আরও অনেকে বলেন, আমাদের বাড়িতে আমের গাছ না থাকার কারণে কিনতে এসেছি। দেখে শুনে সস্তা দরে আম কিনলাম। তারা আরও বলেন, এখন আমের মৌসুম হওয়ায় প্রচুর আম উঠছে বাজারে। দামও বেশ সস্তা। হালি প্রতি ১০ থেকে ২০ টাকা দরে কিনেছি। অবশ্য আমের মৌসুমে কেজি দরে নয় বরং হালি দরে আম বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া অন্যান্য গ্রামীণ বাজারের আম বিক্রেতা ফুলবাবু, আবু তাহের, বছিয়ত, ইউনুছ আলী, সজিব, বাতেন, রহমান, বাতেন, জব্বার, জয়নালসহ আরও অনেকে বলেন, আমের বাজার জমজমাট। দাম কম হলেও বিক্রি বেশি। আবার ভরা মৌসুম হওয়ায় চাহিদাও বেশি।

জানতে চাইলে আমের ব্যাপারী বছিয়ত আলী বলেন, উপজেলার প্রায় প্রত্যেক বাজারে আম কেনাবেচা করি। কম দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। আমের ব্যবসাতেই আমার সংসার চলে। বছিয়ত আলী বলেন, আজ বাজারে ৫ হাজার টাকায় আম কিনে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। লাভ হয়েছে দুই হাজার টাকা।

আনন্দবাজার/শহক

সংবাদটি শেয়ার করুন