শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৈশ্বিক প্রভাবে নিত্যপণ্য

বৈশ্বিক প্রভাবে নিত্যপণ্য

ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার আহ্বান

দ্রব্যমূল্যে অস্থির বিশ্ববাজার। দেশে দেশে হু হু করে বাড়ছে প্রায় সবধরণের পণ্যের দাম। অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে ভোজ্যতেল সয়াবিনের দাম। গমের দামেও বেড়েছে অসন্তোষ। যার ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশের বাজারে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বিশৃঙ্খলা। জনমনেও চরম অসন্তোষ। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ। অন্যদিকে বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম না কমলে কিছুই করা সম্ভব না।

দামের ওঠানামায় অস্থির বিশেষ করে ভোজ্যতেলের বাজার। বিশ্বব্যাংকের পণ্য মূল্য তালিকায় দেখা যায়, ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার। এক বছরের ব্যবধানে চলতি বছরের এপ্রিলে এসে হয়েছে এক হাজার ৯১৯ ডলার। যে কারণে দেশেও দাম বেড়েছে সয়াবিন তেলের। এ বছর গমের দামও বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। সার্বিকভাবে বৈশ্বিক বাজারে বেড়েছে ৬০ শতাংশ। ফলে দেশের বাজারে বেড়েছে আটা-ময়দার দাম। এতে আটা-ময়দা দিয়ে তৈরি রুটি থেকে শুরু করে সবধরণের খাদ্য উপকরণের দামও বেড়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মন্সি বলেন, বিশ্বব্যাপী এখন পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দাম কমানোর বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। মানুষকে বৈশ্বিক অবস্থা জানাতে হবে। এ বিষয়ে বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে অস্থির বিশ্ব। অনেক পণ্যের ঘাটতিও আছে। দেশে যা হয়েছে সেটি কিছু ব্যবসায়ীর অপতৎপরতার কারণে হয়েছে। যার দায় পুরো ব্যবসায়ী সমাজের ওপর পড়ছে। সরকার সে দিক থেকে সতর্ক। তবে শঙ্কা কাটেনি। তিনি বলেন, সামনে কোরবানির ঈদ। সেখানে পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে হবে। ভবিষ্যতে এসব পণ্য মজুত করে কেউ যাতে সুযোগ নিতে না পারে সে জন্য যার যার জায়গা থেকে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

আরও পড়ুনঃ  সাড়ে ১২ লাখ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রিন্ট শুরু

এদিকে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে আর পণ্য বিক্রি করবে না বলে জানিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির জানান, ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি না করার বিষয়ে সরকার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এজন্য আগামীতে ট্রাকে নয় ডিলারদের দোকানে পণ্য বিক্রি করা হবে। বিভিন্ন এলাকা ও সিটি করপোরেশনের বেশিরভাগ ওয়ার্ডে ডিলারদের দোকান আছে। সেখানে পণ্য বিক্রি করা হবে। যেসব জায়গায় ডিলারদের দোকান নেই সেখানে ব্যবস্থা করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন