শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এখনো কমেনি সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম

বাজারে নতুন পেঁয়াজ আসার সঙ্গে চাহিদা মত আমদানি হওয়ার পরও কমছে না দাম। শুধু পেঁয়াজই নয়, শীতকালীন সবজি বাজারে আসলেও এখনো কমেনি দাম। একই অবস্থায় বিরাজ করছে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো। যার ফলে বাজার করতে এসে নাজেহাল ক্রেতারা।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) রাজধানীর বেশ কয়েকটি কাঁচাবাজারে দিয়ে দেখা গেছে, পাতাসহ পেঁয়াজের কলি ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমদানিকৃত চীনা বড় পেঁয়াজগুলো ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মিয়ানমার ও ভারতীয় পেঁয়াজ ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০০-২২০ টাকা কেজিতে।

খুচরা দোকানদাররা বলছেন, বেশি দামে কিনে হয় তাই বিক্রিও করতে হয় বেশি দামে। ডিমের দাম হালি প্রতি কমেছে ৫-১০ টাকা। এখন প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়।

সেগুন বাগিচার কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী মইনুল ইসলাম লিটন বলেন, নতুন পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহ থেকে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি পিস ছোট ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকায়। মাঝারি আকারের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকায়। আর ভালো মানের ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা পিস। কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে। নিম্নমানের শিম ৩৫-৪০ টাকা, ভালো মানের শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে।

বেগুন ৫০, টমেটো ৯০-১০০, বরবটি ৭০, করলা ৬৫-৭০, শসা ৬০, মুলা ৩৫, পটল ৫০, লাউ ৪০, পেঁপে ৩০, নতুন আলু ৫০ ও পুরাতন আলু ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ  তেলের পথে চিনিও, বিশ্বে কমে খাতুনগঞ্জে বাড়ে

এছাড়াও শালগম ২৫-৩০ টাকা, বাঁধাকপি ৩০ টাকা, কচুর লতি ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০-৫০ টাকা এবং চিচিঙ্গা ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস লাউ ২৫ টাকা ও মিষ্টি কুমড়া পাওয়া যাচ্ছে ১০০ থেকে ১২০ টাকায়। শাকের মধ্যে আঁটিপ্রতি লাল শাক পাঁচ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, লাউ শাক ১০-১৫ টাকা ও পুঁই শাক ১৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে আসা নতুন ধান থেকে চাল তৈরি করে বিক্রিও হচ্ছে। কিন্তু তারপরও কমছে না চালের দাম। সেগুন বাগিচা বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে প্রতি কেজি ২৮ চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়, নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি দরে ও পাইজাম চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪ টাকা কেজিতে।

মেসার্স নিউ শিমুল রাইস এজেন্সি দোকানদার আরমান হোসেন বলেন, নতুন ধান বাজারে আসছে। তবে কৃষকরা বিক্রি করতে এসে ভাল দাম পাচ্ছে না। কিন্তু চালের দাম কমছে না। আমাদের বেশি দামে কিনতে হয় তাই বিক্রিও করি বেশি দামে।

 

 

আনন্দবাজার/এম.কে

সংবাদটি শেয়ার করুন